সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে ইফতার সামগ্রী ও তরমুজসহ ফলমূলের দাম ঊর্ধ্বমুখী

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:২১
সারিয়াকান্দিতে ইফতার সামগ্রী ও তরমুজসহ ফলমূলের দাম ঊর্ধ্বমুখী

রমজানে দ্বিতীয় দিনেই ক্রেতাদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠে ইফতারীর বাজার। বেড়েছে লেবু, তরমুজ সহ সব ধরনের ইফতার সামগ্রীর দাম। ক্রেতাদের অভিযোগ রমজানের এই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতাদের দাবি আমদানির তুলনায় পণ্যর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, দাম বেড়ে যায় তারা বেশি দাম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সারিয়াকান্দি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারির সময় শরবতে ব্যবহৃত প্রধান কাচামাল লেবু মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা হালি।

সকল ধরনের বেগুনের দাম তুলনামুলক কম ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খিরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৫থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহের ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরের তরমুজ বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইফতারি সামগ্রীর দামও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। তেল, ডাল, চিনির দামসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বাড়ার কারণে গতবারের তুলনায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা দাম বেড়ে প্রতি কেজি বুন্দিয়া ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, ভুনা বুট ২০০ টাকা, ঝুড়ি ভাজা ২২০ টাকা, চুটকি ২২০ টাকা, পিয়াজু ২২০ টাকা, বেগুনি ২২০টাকা, তিলের বড় জিলাপি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সারিয়াকান্দি বাজারের লেবু বিক্রেতা বাবু বলেন, লেবুর দাম এক মাস থেকেই বেড়েছে। এখন লেবুর সিজন না তাই আমদানি কম। আমদানির তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় লেবুর দাম বেড়েছে।৩০ টাকা থেকে শুরু করে মান অনুযায়ী ৪০ টাকা হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে।

তরমুজ কিনতে আসা সারিয়াকান্দি নিজ বলাইয়ের জসিম উদ্দিন বলেন, রমজান মাস শুরু হলেই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চড়া দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। সারাদিন রোজা রাখার পর তরমুজ বা ফল ফলান্তি খেলে শরীলে অনেকটাই স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু তরমুজ ও খিরার দাম অস্বাভাবিক।

দাম বাড়ার কারণ জানিয়ে খিরা বিক্রেতা সফিক বলেন, এক সপ্তাহ আগেও আমরা খিরা ৩০- ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন খিরার উৎপাদন অনেকাংশে কমে গেছে। তাই আমদানি তেমন নেই। এজন্য আমাদের কিনতেও হচ্ছে বেশি দামে।

সারিয়াকান্দি মুক্তিযোদ্ধা মোড়ের তরমুজ বিক্রেতা বলেন মোঃ মাজেদুল রহমান বলেন,আড়তে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ নেই। পাকা তরমুজ কম পাওয়া যাচ্ছে ৷ রমজান উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি তরমুজের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন ছোট-বড় তরমুজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বাজারের কাচা তরকারী ব্যবসায়ী বলেন, শসা ও লেবুর আমদানি কম হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে। তবে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমে আসবে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুর রহমান বলেন, রমজান শুরুর আগে থেকেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হয়।এখনও করা হচ্ছে, কেউ যদি ইচ্ছা করে কোনো দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয় আর সেটি যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ এক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে