শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৮
বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পটিয়ায় দায়ের কোপে জানিক দে (৭১) নামের এক বৃদ্ধ খুনের মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম রুপেশ দে (৪১) সে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডের ননী দে'র ছেলে।

২০ মার্চ রাতে পটিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ সহ একদল পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী রুপেশ দে কে জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের মধ্যম কেলিশহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জানিক দে সেদিন পুকুরঘাটে হাত- মুখ ধৌতে গেলে আসামি রুপেশ দে ধারালো দা নিয়ে পুকুরঘাটে গেলে জানিক দে'র সাথে পূর্বশত্রুতা নিয়ে তর্কে জরায়।

তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আসামি রুপেশ দে'র হাতে থাকা দা দিয়ে জানিক দে'র বাম গালে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এরপর ঘুষি মেরে চোখ ফুলিয়ে ফেলে তারপর ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এর আগেও একবার রুপেশ দে নিহতের স্ত্রী মমতা দে’কেও মাথায় কুপিয়ে জখম করেছিল।

খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে আশিষ দে বাদী হয়ে রুপেশ দে'কে একমাত্র আসামি করে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রুপেশ দে'কে ঘটনার দুই মাসের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটক করতে সক্ষম হই। মাদকাসক্ত রূপেশ দে চট্টগ্রাম শহরের একটি দারোয়ানি চাকুরি করেন। ঘটনারদিন রাতে অতিরিক্ত মদপানে মাতাল হয়ে জানিক দে'কে কুপিয়ে আহত করে একপর্যায়ে কিল ঘুষি মেরে ধাক্কা দিয়ে পানিতে পেলে দিলেন তার মৃত্যু হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি জোরারগঞ্জ থানার ইছাখালী ইউনিয়নে অবস্থান করছেন আসামি রুপেশ দে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পটিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামী রুপেশ দে'কে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক বেগম তাররাহুম আহমেদের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে সে হত্যার ঘটনা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে