শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

জগন্নাথপুরে দেশি-বিদেশি পোশাকে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৭
জগন্নাথপুরে দেশি-বিদেশি পোশাকে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। রমজানের শেষ সময়ে প্রবাসী অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সদর সহ উপজেলার মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দিনের বেলায় লোকজন কম থাকেলও রাতে কেনাকাটা করতে আসেন বেশিরভাগ লোকজন। ক্রেতাদের মধ্যে এবারের ঈদে দেশি এবং বিদেশি দুই ধরনের পোশাকের চাহিদা রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে কাপড়ের দোকানে বেশী ভিড়।

নারীদের অলংকার, ব্যাগ, আতর-টুপি ও জুতার দোকানে তুলনামূলক ক্রেতা কম।

উপজেলা সদরের উজ্জল গার্মেন্টস, ঝলক ফ্যাশন, ডলফিন ফ্যাশন, সালমান ফ্যাশন, বু ড্রিম ফ্যাশন, গ্রীতা শ্রী ফ্যাশন, জয়শ্রী ফ্যাশন, গুডলাক ফ্যাশন, রানীগঞ্জ বাজারের মিলান ফ্যাশন, এম আর ফ্যাশন, রহমান ফ্যাশন, মিতা ফ্যাশন, নুর ফ্যাশনে সব ধরনের ক্রেতারা পছন্দের পোষাক ক্রয় করতেছেন। তবে নারী ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবার শিশু ও নারীদের পোশাকের দাম বেড়েছে।

ক্রেতা সাধারন বলেন, শিশুদের পোশাক কিনতে এসেছি। ঈদ উপলক্ষে দাম অনেক বেড়েছে। ওই দোকানের আরেক ক্রেতা সুলাতানা বলেন, নারীদের পোশাকের দাম হাঁকা হচ্ছে অনেক বেশি। দুই হাজার টাকার নিচে ভাল কোনো জামা পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে নামী দামি প্রতিষ্টানে বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে।

গুডলাক ফ্যাশন মালিক শিপন মিয়া বলেন, এ বছর মার্কেটে দেশি এবং বিদেশি উভয় পোশাকের চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে নারীদের থ্রি পিচ। এর মধ্যে পাকিস্তানি নারগা ও ভারতীয় রিধিকা পোশাকের চাহিদা বেশি।

রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মিলান ফ্যাশনের মালিক আব্দুস সামাদ বলেন, এ বছর নারীদের পোশাকের মধ্যে পাকিস্তানি লোন এবং ভারতীয় ফোর পিচ নামে পোশাকর চাহিদা আছে। তবে ক্রেতারা এ বছর অধিকাংশ নিজেদের জন্য পোশাক ক্রয় করছেন। অন্যান্য বছরের নিজেদের পাশাপাশি অন্যদের উপহার দেওয়ার জন্য কিনতেন।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা সদর সহ সারা উপজেলার মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। দিন ও রাতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি শহরের সড়কগুলো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্র্যাফিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে