সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় আজহারল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির পুরুষ অঙ্গ কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের পাঁচপোতা গ্রামে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় আজহারুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী ঝরনা খাতুন এ কাজ করে। ঝর্ণা খাতুন স্বামীর পুরুষ অঙ্গ কেটে নেওয়ার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান,আজহারুল ইসলাম গত ৪ মাস ধরে পাঁচপোতা গ্রামে ভাড়া থাকতেন। সকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে কেমন যেন শব্দ শুনতে পায়। পরে আমাকে খবর দিলে চৌকিদার নিয়ে ঘরে ঢুকে দেখি যে স্বামী-স্ত্রী দুই জনে অচেতন হয়ে পড়ে আছে। পরে কলারোয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয়া জানান, দ্বিতীয় স্ত্রী ঝরনা খাতুনের সাথে স্বামী আজারুলের বিভিন্ন সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে কম সময় দিত। তারই রাগ এবং ক্ষোভে শুক্রবার রাতে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে স্বামীকে খেতে দেয়। পরে ঘুমিয়ে পড়লে তাকে বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। প্রথমে তাদের কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা অবনতি হলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যা হয়। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধু ঝরনা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করে। স্বামী আজহারুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলারোয়া উপজেলাব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহীতে আগুনে পুড়ল শত বিঘা জমির পান বরজ

এ বিষয়ে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আজহারুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে। তার দুই স্ত্রী। বড় স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন। ছোট স্ত্রীর নাম ঝর্ণা খাতুন। স্ত্রীর ঝর্ণা খাতুন মরনাপন্ন অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করেন। আর স্বামী আজারুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। #

যাযাদি/এসএস