শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলবাড়ী রক্ষার আন্দোলন ছিল গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনঃ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬
ফুলবাড়ী রক্ষার আন্দোলন ছিল গণমানুষের মুক্তির আন্দোলনঃ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, গণমানুষের অধিকার বাস্তবায়ন হলেই মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বাস্তবায়ন হবে। ফুলবাড়ী রক্ষার আন্দোলন ছিল ফুলবাড়ী রক্ষার সাথে গণমানুষের মুক্তির আন্দোলন, এ আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিল, তারা সকলে গণমানুষের মুক্তি সংগ্রামের সৈনিক।

শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জেলা পরিষদ ডাক বাংলা চত্তরে, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে, ফুলবাড়ী রক্ষার আন্দোলনের প্রায়াত নেতা ও তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম এ খালেক, রবীন্দ্র নাথ সরেন, আকতারুল ইসলাম বকুল, আরিফুল ইসলাম, দিপ চাঁদ প্রসাদ গুপ্ত, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, আব্দুল জব্বার, ইন্দ্রজিত দাস শিবু, সৌভিক করিম অর্জুন, মুক্তার হোসেন, আব্দুল মতিন, গোলাম মোস্তফা, মির্জা গোলাম হায়দার আলী, ও প্রদিপ রায় এর স্মনণে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে সমস্ত কর্মকান্ড হচ্ছে, তা মুক্তিযুদ্ধের চেনার পরিপন্থি, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশের অধিকাংশ নাগরিক বীনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করছে, চিকিৎসার খরছ যোতে পারছেনা, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হচ্ছে, মানুষের অধিকারের জন্য কথা বলতে পারছেনা, এ জন্য লাখ লাখ মানুষ জিবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেনি।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন রাস্তা-ঘাট আর উড়াল রাস্তা নির্মান করলেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়না। স্বাধীনতার চেতনা ছিল, মানুষ তার অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারবে, তার অধিকারের প্রশ্নে রাস্তায় প্রতিবাদ করবে, দেশের মধ্যে শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা পাবে, আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মানুষের নিরাপত্তা নাই, চিকিৎসা নাই, শিক্ষা নাই, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিতে যে পরিমান ব্যায় হয়, তা দেশের ৮০ ভাগ মানুষ বহন করতে পারেনা।

তিনি আগামী দিনে ফুলবাড়ীসহ সারা দেশের জাতীয় সম্পদ ও খনিজ সম্পদ রক্ষার আন্দোলকে বেগবান করতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

স্মরণ সভায় তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তেল গ্যাস খানজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কেন্দ্রিয় নেতা, ইউনাইটেট কমিনিউস্ট লীগের সম্বনয়ক মোশারফ হোসেন নান্নু, সিপিবি দিনাজপুর জেলা শাখার সম্পাদক এ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দে রক্ষা জাতীয় কমিটির দিনাজপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব আলতাব হোসেন, ফুলবাড়ী শাখার সদস্য সচিব জয় প্রকাশ নারায়ন, অন্যতম সংগঠক এম এ কায়ুম, ইউনাইটেট কমিনিউস্ট লীগের সম্পাদক সঞ্জিব প্রসাদ জিতু, ওয়াকার্স পাটির সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার, সিপিবি ফুলবাড়ী শাখার সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান, গণফ্রন্ডের ফুলবাড়ী শাখার সম্পাদক সামিউল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় প্রায়াত নেতাদের সজানদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন তেল গ্যান খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রায়ত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম এ খালেক এর ছেলে নিজাম উদ্দিন পলাশ, আখতারুল ইসলাম বকুলে স্ত্রী শাপলা বেগম ও মেয়ে আকতারিনা জিন্নাত কথা, রবীন্দ্র নাথ সরেনের স্ত্রী বাসুন্তি রানী মুরমু, দিপ চাঁদ প্রসাদ গুপ্তর স্ত্রী জুথি গুপ্তা, ইন্দ্র চাঁদ দাস শিবুর স্ত্রী পপি রানী দাসী।

স্মরণ সভায় তেল গ্যান খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দও রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার সাবেক সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ চৌধুরী, দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল হক, জেলা পরিশদ সদস্য শফিকুল ইসলম বাবুসহ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দও রক্ষঅ জাতীয় কমিটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মিগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণ সভায় ফুলবাড়ী রক্ষার আন্দোলকে আরো বেগবান করেন সংগ্রামের সাথিদের স্মরণ করতে হবে বলে বক্তাগণ দৃঢ় প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন।

উল্লেখ্য ২০০৬ সালে ২৬ আগষ্ট উম্মুক্ত পদ্ধতিতে ফুলবাড়ী কয়লঅ খনি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে যে গণ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল সেই আন্দোলনের সম্মুখ থেকে নেতৃত্ব দেয়া নেতা-কর্মিরা যারা বিভিন্ন কারনে মৃত্যু বরণ করেছেন, তাদের স্মরণে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে