ফেনীর পরশুরামের মুহুরি নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া নৌবাহিনীর সদস্য আবুল হাসান সাইফুল (২৫) এর মরদেহ সাত ঘণ্টা পর ডুবুরিরা মুহুরি নদী থেকে উদ্বার করেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এক ঘণ্টা চেষ্টার তার মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ডুবুরিরা। এর আগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরশুরাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ নৌ সদস্যের মরদেহ উদ্বারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি নিয়ে আসেন।

উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর শালধর গ্রামে শনিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। সে উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের উত্তর শালধর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। নিহত আবুল হাসান সাইফুল চট্রগ্রামের নৌঘাটিতে কর্মরত রয়েছেন বলে তার পরিবার জানায়।

ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে শনিবার দুপুরে গ্রামের পাঁচ বন্ধুসহ মুহুরি নদীতে গোসল করতে নেমে হঠাৎ পানিতে ডুবে যায়।

চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান তীব্র তাপদাহে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শনিবার দুপুর দুইটা এলাকার পাঁচ বন্ধুদের সাথে মুহুরি নদীর নাজির বাড়ির সংলগ্ন ঘাট দিয়ে গোসল করতে নামে। একটু দুরে থাকা তার বন্ধুরা দেখতে পায় সাইফুল হঠাৎ পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা উদ্বারের চেষ্টা করে।

অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিখোঁজ সাইফুলকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় চট্টগ্রামের ডুবুরি দলকে ডেকে আনেন। শনিবার রাত নয়টার দিকে সাইফুলকে উদ্বার করে।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের ওই নৌবাহিনীর সদস্য নদীতে গোসল করতে নেমে হঠাৎ নিখোঁজ হন। তার সহপাঠীরা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরশুরাম ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যারা সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করতে না পেরে চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরির একটি দলকে ডেকে আনেন। রাত ৮টায় মুহুরি নদীতে নেমে এক ঘন্টার চেষ্টায় সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।

যাযাদি/ এসএম