সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

আনসার সদস্যকে নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৬
আনসার সদস্যকে নিয়ে দুই স্ত্রীর কাড়াকাড়ি

ঝিনাইদহেএক আনসার সদস্যকে নিয়ে দুই স্ত্রীর মধ্যে কাড়াকাড়ি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের পবহাটিতে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম (৩৮)। বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামে। রাঝধানী ঢাকার সুত্রাপুর থানায় কর্মরত। এ পর্যন্ত বিয়ে করেছেন ৭টি। চাকরির সুবাদে যেখানেই যান সেখানেই বিয়ে করেন। সর্বশেষ বিয়ে করেছেন ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে সেজুতি নামের এক মেয়েকে। সেজুতি তার সপ্তম স্ত্রী। বর্তমানে ৩ নম্বর স্ত্রী পারভীন গ্রামে বাড়ি আর ৬ষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তান সাথী যশোরের বেনাপোল রয়েছে। ২ স্ত্রীর ২টি সন্তান রয়েছে। ৬ষ্ঠ স্ত্রী হোসনে আরা আক্তার সাথী আড়াই বছরের কন্যাকে নিয়ে স্বামীকে ফিরে পেতে আসেন ঝিনাইদহের পবহাটিতে। সেখানে স্বামীকে কব্জায় নিয়ে শুরু হয় রণক্ষেত্র। দুই স্ত্রীর হাতাহাতির এক পর্যায়ে পালিয়ে যান আনসার সদস্য তরিকুল ইসলাম।

৬ষ্ঠ স্ত্রী সাথী জানায়, বেনাপোল বন্দরে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমাদের এলাকায় আসতো। নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। তার কথায় ভুলে আমার পরিবার ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তার সাথে বিয়ে দেয়। সেই থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আমার কাছেই থাকতো। ২০২২ সালে ঢাকায় বদলি হওয়ার পর থেকে আমার খোঁজ খবর নেওয়া বন্ধ করে দেয়। আমার ও আমার সন্তানের কোন খরচ দেয় না। ঢাকায় যাওয়ার পর ইমোতে পরিচয় হয় ঝিনাইদহের পবহাটি এলাকার ৭ম স্ত্রী সেজুতির সাথে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে সেজুতিকে বিয়ে করে। এরপর থেকে আমার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

সর্বশেষ গত বছর ঈদে আমার কাছে গিয়ে ৬ দিন ছিল। আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে। তারপর সকল যোগাযোগ বন্ধ। আমার আড়াই বছরের মেয়েটি বাবার জন্য সব সময় কান্নাকাটি করে। ঝিনাইদহ আছে এমন খবর পেয়ে আমরা ওই বাড়িতে এসেছি। আমাদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমি তরিকুল ও সেজুতির বিচার চাই।

এ ব্যাপারে আনসার সদস্য তরিকুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে