সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্গাপুরে কুমুদিনী হাজংয়ের স্মরণ সভা

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৯
দুর্গাপুরে কুমুদিনী হাজংয়ের স্মরণ সভা

ঐতিহাসিক টংক আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী ও মহিয়সী নারীনেত্রী কমরেড কুমুদিনী হাজংয়ের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল ) সন্ধ্যায় কমরেড মণি সিংহ স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির উদ্যোগে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীরের সভাপতিত্বে সহ-সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ। আরো আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ: খালেক, সিপিবি কলমাকান্দা উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সিদ্দিকুর রহমান, নেত্রকোনা আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি নিরন্তর বনোয়ারী, উপজেলা আদিবাসী ইউনিয়নের সভাপতি অবনী কান্ত হাজং, আদিবাসী নেত্রী পার্বতী রিছিল, রাশিমনি কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান মতিলাল হাজং, উপজেলা ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি আজিম উদ্দিন, উপজেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম, কমরেড মণি সিংহ মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য শফিউল আলম স্বপন, এ কে এম ইয়াহিয়া, জনপদ চৌধুরী, কুমুদিনী হাজং এর ছোট মেয়ে অঞ্জলি হাজং প্রমুখ।

বক্তার বলেন, কুমুদিনী হাজং এই দেশের কৃষক, মেহনতি মানুষ, জনতার স্বার্থে একটি সাম্যের সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন। লড়াই, সংগ্রাম সহ অন্যান্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। “আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার তিনি যে সংগ্রাম করেছেন সেই সংগ্রামের কোন মৃত্যু নেই। কমরেড কুমুদিনী হাজং লড়াই-সংগ্রামের জীবন্ত কিংবদন্তি। কুমুদিনী হাজংকে ঘিরেই সেদিন ছড়িয়ে পড়েছিল টংক আন্দোলন। জমিদারদের অন্যায় ভাবে খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে সেই সময় রাজ সেনার বিরুদ্ধে তিনি কৃষকদের বীরত্বপূর্ণ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৫০ সালে বাতিল হয় টংক প্রথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে একে বিদায় নিয়েছেন সেই অগ্নি-যুগের বিপ্লবী সন্তানেরা। তাদের মধ্যে কেবল কুমুদিনী হাজং বেঁচে ছিলেন কালের সাক্ষী হয়ে। গত ২৩ মার্চ এই মহীয়সী নারী নেত্রী সকলের মায়া ত্যাগ করে চির বিদায় নেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে