সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

খুন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি ৮ মামলার আসামি আরিফুল ইসলাম এর মনোনয়নপত্র আপিলেও বাতিল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২
খুন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি ৮ মামলার আসামি আরিফুল ইসলাম এর মনোনয়নপত্র আপিলেও বাতিল

আপিলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফুল ইসলাম হাওলাদার। তবে একই পদে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী রাহাত খান রুবেল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, খুন ,সন্ত্রাস চাঁদাবাজি , মারামারি সহ আটটি মামলা রয়েছে আরিফুল ইসলাম হালদারের বিরুদ্ধে। এই সমস্ত মামলাগুলোর তথ্য গোপন করে আরিফুল ইসলাম হালদার টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে তথ্য গোপন করায় তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে সে আপিল করলে আপিলেও শুনানি শেষে তার প্রার্থীরা অবৈধ ঘোষণা করে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে , আরিফুল ইসলাম হাওলাদার এর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। সে ওই সমস্ত মামলার মধ্যে অনেক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করায় আপিলেও তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন তথ্য গোপনের অভিযোগে চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে দূই প্রার্থী ও ভাইক চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী মোট চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে ওই চার প্রার্থী আপিল করে তিন প্রার্থী প্রার্থীতা ফিরে পেলেও আরিফুল ইসলাম হাওলাদার অনেকগুলো মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করায় আপিলেও তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জানাগেছে ,আরিফুল ইসলাম হাওলাদার খুনসহ মোট পাঁচটি মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন। তথ্য গোপন করা মামলাগুলো ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা রয়েছে।

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আশরাফুল আলম বলেন, টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তথ্য গোপন করায় মোট ৮ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ওই প্রার্থীরা আপিল করার পরে সাতজনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আরিফুল ইসলাম হালদার নামে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী অনেকগুলো মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র আপিলেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বছর দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী মনোয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী আবদুল ওয়াহিদ, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতুর ছেলে সদ্য দিঘিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান পদ হতে পদত্যাগ করা আরিফুল ইসলাম হালদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র গোলাম রাব্বানী শান্ত, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাহাত খান রুবেল, মাহবুর রহমান এবং কামারখাড়া ইউপির সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান দপ্তরী। এদের মধ্যে দুই জনের আরিফুল ইসলাম হালদার ও রাহাত খান রুবেলের মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে ঘোষণা করা হলেও আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন রাহাত খান রুবেল।

অপরদিকে টঙ্গীবাড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদ খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউর রহমান ডিউক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ শেখ। এদের মধ্যে রেজাউর রহমান ডিউক ও নূর মোহাম্মদ শেখের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হলেও তারা আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।

এ বছর টঙ্গীবাড়ী উপজেলা হতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাখিলকৃত ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসিমা আক্তার, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলি পারভীন, তার কন্যা ফারজানা হোসেন লিজা ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আকলিমা আক্তার।

দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলায় সকল প্রার্থীদের আপিল নিস্পত্তি হবে ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যে আজ ২৮ শে এপ্রিল আপিল নিষ্পত্তি করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালটপেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২১ মে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে