শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিষাক্ত ক্যামিকেল ও রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে ফলের জুস

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ০৪ মে ২০২৪, ১৮:৩১
ছবি-যায়যায়দিন

শিশুখাদ্য ফলের জুস তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে সেই ফলের জুসে কোনো ধরনের ফলের উপস্থিতি নেই। শুধুমাত্র বিভিন্ন ধরনের ক্যামিকেল এবং রং ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছিল সেসব জুস। ফরিদপুরে এমনই একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযানের টের পেয়ে পালিয়ে গেছেন ওই কারখানার মালিক। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কারখানাটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে কিছুই বোঝার উপায় নেই। দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভেতরে কয়েকটি রুমের ভিতরে বসানো হয়েছে মেশিন। সেখানেই চলছে বিষাক্ত ক্যামিকেল ও বিভিন্ন রং ব্যবহার করে জুস তৈরি।

শনিবার (৪ মে) শহরের পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। বাড়ির দরজা ভেতরে থেকে আটকানো। দরজায় কড়া নাড়ানো হলেও খোলা হচ্ছে না। কিছুক্ষন পর খোলা হল দরজা। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো কয়েকজন নারী শ্রমিক কাজ করছেন। তারা বোতলে জুস ভরছেন, কেউবা প্যাকেজিং করছেন।

নোংরা পরিবেশে বিষাক্ত ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুস। জুসের বোতলে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর লেভেল লাগানো হচ্ছে। লিচু, ম্যাংগো জুস ছাড়াও চকলেট প্যাকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক এ্যালকুলি সহ বিভিন্ন ঔষধও বোতলজাত করা হচ্ছে।

কর্মরত নারী শ্রমিকরা জানান, তারা সকালে আসেন রাতে চলে যান। তারা চলে যাওয়ার পর রাতে তৈরি করা হয় জুস, সকালে এসে তারা বোতলজাত করেন।

তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালিয়ে যান কারখানার মালিক মো: লিটন মিয়া। সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল জুস ও বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে আদালত।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মুজিবুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিপুল পরিমান নকল জুস জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আয়ুর্বেদিক অ্যালকুলি সহ বিভিন্ন ধরনের চকলেট জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে জব্দকৃত মালামাল। এছাড়া কিছু মেশিনারিজ রয়েছে সেগুলোও জব্দ করা হয়েছে। কারখানাটি বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। কারখানার মালিক লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। এছাড়া অবৈধভাবে আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মুজিবুল ইসলাম জানান, শিশুদের খাদ্যে এধরনের ক্যামিকেল ও রং ব্যবহার করে যারা এধরনের জুস ও চকলেট তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে