শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সোনাইমুড়ী পৌরসভার যত্রতত্র ময়লা, দুর্ভোগ চরমে

সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
  ০৫ মে ২০২৪, ১৪:০৮
ছবি-যায়যায়দিন

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার বজ্য ফেলার নিধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। পৌর এলাকার বাজারের বর্জ্য খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বাড়ছে মশা মাছির উপদ্রব। ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।

তবে পৌর মেয়র বলছে, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং সেন্টার নির্মাণ হচ্ছে। পৌরশহরের বাজারে কোন বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নেই।

সরেজমিনে জানা যায়,সোনাইমুড়ি পৌরসভায় বর্তমানে ৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী,১ জন সুপারভাইজার, ময়লা পরিষ্কারের জন্য ২ টি ট্রাক,৮ টি ভ্যান রয়েছে। প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে খ্যাত সোনাইমুড়ী পৌরসভা।কিন্তু যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলায় পৌরসভা এলাকা যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে পৌরশহরের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। নোয়াখালী- রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই শিমুলিয়া নামক স্থানে বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ময়লা এনে এখানে ফেলেন। দুর্গন্ধে বিঘ্ন সৃষ্টি সহ নাকে কাপড় চেপে পথচারীদের পার হতে হয়। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুসহ স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। শিমুলিয়া রাস্তার পাশে পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেলা হচ্ছে ময়লা। এর পাশে রয়েছে সোনাইমুড়ী মডেল মসজিদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। ময়লার গন্ধে প্রায় সময় মুসল্লীগণ নামাজ পড়তে বিঘ্ন সৃষ্টি ও মুক্তিযোদ্ধারা কমপ্লেক্সে যাতায়াত করতে হিমশিম পোহাচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ডাম্পিং সেন্টার না থাকায় যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে শহরের বর্জ্য।

শিমুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও আবু হানিফ নামের একজন দোকানী জানান, দীর্ঘ বছর ধরে এখানে ময়লা ফেলায় বসবাস করা ও দোকানদারি করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাতাসে দুর্গন্ধে শিশুরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে।

সোনাইমুড়ী মডেল মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী জানান, বিভিন্ন সময় এই ময়লাগুলা ধ্বংসের জন্য আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় ধোয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মুসল্লিদের নামাজরত অবস্থায় দম বন্ধের উপক্রম হয়। এছাড়া ভাগাড়ের আশপাশে ১৫ টি পরিবারের বসবাস। যারা ময়লার দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই পরিবারের শিশু-কিশোরেরা বিভিন্ন রোগে ভুগছে।

পৌর সভা সূত্রে জানা যায়,সোনাইমুড়ী উপজেলার একমাত্র সোনাইমুড়ী পৌরসভাটি ২০০৩ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পূর্বে সোনাইমুড়ী ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিতি ছিল। সোনাইমুড়ী পৌরসভার দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচিত হন নুরুল হক চৌধুরী। তিনি ১০-০৩-২০২১ খ্রিঃ হতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী জানান,১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়লার ডাম্পিং সেন্টার নির্মিত হচ্ছে। এবছরই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তবে পৌর শহরের ময়লা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই বলে তিনি স্বীকার করেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে