শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ব্যবসায় বাণিজ্যসহ নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে চেয়ারম্যান হুমায়ুন মোল্লার

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ০৫ মে ২০২৪, ১৫:৪৯
আপডেট  : ০৫ মে ২০২৪, ১৫:৫৪
ছবি: যায়যায়দিন

ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা থেকে টানা দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা। এর আগে ৫ম ধাপের নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীর মোল্লা এবার লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, হুমায়ুন কবীর মোল্লার শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাস। তিনি মেসার্স হুমায়ুন এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আলমগীর ব্রাদার্স নেভিগেশন কোম্পানির মালিক।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে ব্যবসায় বাণিজ্যসহ নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর মোল্লার। পাঁচ বছর আগে ব্যবসা থেকে তার কোনো আয় না থাকলেও বর্তমানে তার ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। তবে তিনি তার হলফনামায় স্ত্রীর স্বর্ণ ছাড়া তার ওপর নির্ভরশীলদের সম্পদের বিবরণী দেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের হলফনামার স্থাবর সম্পদের কৃষিখাত থেকে হুমায়ুন কবীর মোল্লার বাৎসরিক আয় হতো ৫০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ব্যবসা খাত থেকে কোনো আয় না থাকলেও তিনি অন্যান্য খাত থেকে আয় করতেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার ব্যবসা খাত থেকে বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। এছাড়াও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানি ভাতা পেয়েছেন ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে দেখা যায়, ২০১৯ সালে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর মোল্লার নগদ কোনো টাকা না থাকলেও ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা, টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র ও তার স্ত্রীর স্বর্ণসহ মোট ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মালিক ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি নগদ ৭ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১ টাকার মালিক। এছাড়াও বর্তমানে তিনি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্রসহ তার স্ত্রীর কাছে ১ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ রয়েছে।

পাঁচ বছর আগেও হুমায়ুন কবীর মোল্লা বসুন্ধরা প্রকল্পে ৫৮ লাখ ৭২ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের ৫ কাঠা অকৃষি জমি ও ২ হাজার ২৮০ বর্গফুটের একটি এপার্টমেন্টের মালিক ছিলেন। এপার্টমেন্টের অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ছিল ২৭ লাখ ৪ হাজার ৮১০ টাকা। এছাড়াও তিনি ১ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের একটি বাড়ির মালিক ছিলেন। বর্তমানেও তিনি এসব স্থাবর সম্পদের মালিক।

মোটরসাইকেল প্রতীকের এই প্রার্থী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কর অঞ্চল-৭ ঢাকার আওতায় ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা আয়কর জমা দিয়েছেন।

হুমায়ুন কবীর মোল্লা কারও নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করেননি। ২০২৪ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তার নামে সখিপুর থানায় পাঁচটি মামলা রুজু হয়েছিল। সকল মামলা থেকেই তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। কিন্তু ২০১৯ সালে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি কোনো মামলার তথ্য উল্লেখ করেননি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে