রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১

এক ভবনের জন্য একটি সেতু

খোরশেদ আলম, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৪, ১৩:০১
ছবি-যায়যায়দিন

নোয়াখালী-ঢাকা ফোর লেন সড়কের পাশেই খাল। এর নাম বলুয়াখাল। পশ্চিম পাশে সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ ভবন। পূর্ব পাশে সোনাইমুড়ী টিচার্স ওয়েলফেয়ার ফোরাম একটি ভবন নির্মাণ করছে। ওই একটি ভবনে আসা-যাওয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সেতু। তবে সেতুটি ব্যক্তিগত মনে হলেও এটি নির্মিত হবে সরকারি টাকায়।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেতু কালবাট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ২০ টি সেতুর নির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়। গত মার্চ মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরে এই সেতু গুলোর টেন্ডার হয়। একটি বীজ ন্যূনতম ৪০ লাখ উপরে ৮০ লাখ পর্যন্ত নির্মাণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে বলে জানান সোনাইমুড়ী উপজেলা পিআইও মিশকাতুর রহমান।

সোনাইমুড়ী উপজেলার কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করে জানান, উপজেলার উত্তর বগা দিয়া এস্তেমার মাঠের পূর্ব পাশে বুলুয়া খালের উপর,সোনাইমুড়ি গ্রামের কাউন্সিলর তাজুর বাড়ির সামনে, আমিশাপাড়া গ্রামের ডাক্তার রাসেলের বাড়ির সামনে, দেওটি গ্রামের লদের বাড়ির সামনে একেক পরিবারের জন্য একটি করে সেতু বরাদ্দ দেয়া হয়। এলাকার একশ্রীর ক্ষমতাশীন দলের লোকজন অবৈধ সুবিধা নিয়ে এ ধরনের অনিয়ম করে সেতু নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ পাইয়ে দিতে সহায়তা করেছে। তবে একটি সেতু ৫০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় নির্মিত হবে। জনপ্রতিনিধি,ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও প্রবাসীদের বাড়ির সামনে সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় বলে জানা ন।

সোনাইমুড়ী উপজেলার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার জানান, যারা সচ্ছল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের বাড়ির সামনে একক সেতু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুবিধাবীদের কাছ থেকে এক শ্রেণী লোকজন সেতু বরাদ্দ পাইয়ে দিতে মোটা অংকের টাকাও নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সোনাইমুড়ী টিচার্স ওয়েলফেয়ার ফোরামের সভাপতি মাওলানা মাইনুদ্দিন জানান, তারা একটি ভবন নির্মাণ করছেন। এ ভবনটিতে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় ক্ষমতাশীল দলের লোকজনের সহযোগিতায় একটি সেতু বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে ঠিকাদার এখনো কাজ ধরেননি।

সোনাইমুড়ী গ্রামের কাউন্সিলর তাজুর বাড়ির সামনে সেতু বরাদ্দ নিয়ে কথা হয় হলে তিনি জানান, তার বাড়ির সামনে একটি সেতু বরাদ্দ হয়েছে। তবে কখন কাজ ধরবেন তিনি জানেন না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআই) মিশকাতুর রহমান জানান, তিনি এই উপজেলা যোগদানের পূর্বে সেতুগুলোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেতুগুলো সার্বজনীন ও বৃহত্তর স্বার্থে করার বিধান রয়েছে। তবে তিনি ২/১ টি সেতু সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ ধরনের অনিয়ম পেয়েছেন। প্রত্যেকটি কাজ এখনো পরিদর্শন করা হয়নি। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন,তিনি এখানে যোগদানের পর এ ধরনের সেতুর তালিকা পাঠাননি। তবে সেতু জনস্বার্থে হওয়া উচিত।ব্যক্তি স্বার্থে নয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে