রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, কাঞ্চনের নবরূপ

বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৪, ১৩:১১
ছবি-যায়যায়দিন

লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুলের শোভায় নবরূপে সেজেছে দেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশ। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম অংশের ৪৩ কিলোমিটার সড়কের ডিভাইডারের অধিকাংশেই কৃষ্ণচূড়া, সোনালু, জারুলসহ বিভিন্ন ফুলের সমারোহ প্রকৃতিতে এনেছে নতুন সাজ।

চারিদিকে সবুজের বুক চিরে রক্তিম লাল আভা জানান দিচ্ছে প্রকৃতির নয়নাভিরাম রূপের। এ অংশে প্রকৃতি যেন সেজেছে কৃষ্ণচূড়া আর সোনালুর রঙে। পরিবেশে ফিরেছে নতুন সৌন্দর্য্য। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য্য নজর কেড়েছে মহাসড়কের বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করা যাত্রীদের। যাত্রীদের অনেকেই এ দৃশ্য ছবি তুলে কিংবা ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছেন। বিশেষ করে গ্রীষ্মের তাপদাহে প্রখর রোদের মাঝে মহাসড়কের ডিভাইডারের কৃষ্ণচুড়াসহ এসব ফুল এবং গাছ ছায়া দিয়ে যাচ্ছে হাজারো যাত্রীদের। ঢাকা-চট্রগ্রামগামী কিংবা চট্রগ্রাম থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে এসব বাহারী ফুল। এ দৃশ্য পুরো বাংলাদেশের মধ্যে চৌদ্দগ্রামের অবস্থানকে করেছে অতুলনীয়।

স্থানীয়রা সহ অনেকেই সড়কের পাশের কৃষ্ণচূড়া তলায় আসেন ছবি তুলতে। আবার অনেককে দেখা যায় বিশ্রাম নিতে। বিশেষ করে উত্তর বঙ্গ থেকে আসা দিনমুজুরদের প্রায় প্রতিনিয়ত দেখা যায় সড়কের পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে একটু শীতল হাওয়া উপভোগ করতে। তীব্র গরমে তারা প্রশান্তি খোঁজেন কৃষ্ণচুড়ার তলায়।

প্রখ্যাত পরিবেশ ও সামাজিককর্মী ইমাম হোসাইন জানান, মহাসড়কের দুইপাশের মাঝখানের কৃষ্ণচুড়ার সৌন্দর্য নজর কেড়েছে লাখো মানুষের। এ সৌন্দর্য চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অবস্থানকে তুলে ধরেছে পুরো দেশে। এসময় তিনি আরও বলেন, মহাসড়কের ডিভাইডারে যারা নিজ উদ্যোগে ছোট ছোট বৃক্ষ রোপন করে কিংবা শীতকালে সবজির আবাদ করে তাদেরকে রাষ্ট্রিয়ভাবে সহযোগীতা কিংবা অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন। এতে করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পুরো অংশে ফুলে ফলে সুরভিত হয়ে উঠবে। সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান, খাদ্য ঘাটতি পুরনেও তা ব্যাপক কাজ দিবে।

এ সৌন্দর্য যাতে অব্যাহত থাকে এজন্য তিনি রোডস্ এন্ড হাইওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির দাবীও জানান।

একে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশকর্মী আব্দুল কাইয়ুম মানিক জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাহারি ফুলের সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। জারুল ফুল বাংলার চেরি ফুল হিসেবে বিবেচিত হয়। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডিভাইডারে ফুলগাছগুলোর সৌন্দর্যে ভ্রমণকারীরা বিমোহিত।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফেলনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাষ্টার আব্দুল মান্নান জানান, মহাসড়কের দুই অংশের ডিভাইডারে কৃষ্ণচুড়া, সোনালু, কাঞ্চন, করবিসহ নানাবিধ ফুলগাছের সমারোহ এক অপরুপ দৃশ্যের অবতারণ করেছে। এসব ফুলগাছ শুধু সৌন্দর্য বৃদ্ধিই নয় রাতে বিপরীতমুখী চলমান বাসের হেডলাইটের আলো নিয়ন্ত্রণেও ভুমিকা রাখে।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রিনাথ সাহা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মহাসড়কের ডিভাইডারে স্থাপিত এসব ফুলগাছ ব্যাপক ভুমিকা রাখছে। পাশাপাশি মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের বাহার ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে