শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনা পিস্তল-গুলি-ইয়াবাসহ আসামী গ্রেপ্তার! 

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ২৩ মে ২০২৪, ২১:৪০
ছবি-যায়যায়দিন

গাজীপুরের শ্রীপুরে মহড়া দিয়ে গুলি করে ফরিদ নামের একজনকে হত্যার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত ইমরান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলশের একটি দল। পরে তার কাছ থেকে একটি চায়না পিস্তল, গুলি ও মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরআগে, দুপুরের দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মো. ইমরান হোসেন (২৫) শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের মাটির মসজিদ এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার গুলি করে একজনকে হত্যার ঘটনায় একই দিন শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করার জন্য জেলা পুলিশ সুপার সহ উর্ধতন পর্যায় থেকে তাদের কাছে নির্দেশ দেয়। পরে তারা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এ এইচ এম লুৎফুল কবীরের নেতৃত্বে আসামি গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সূত্রে তারা জানতে পারেন, বুধবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের মামলার এক আসামি শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার আশপাশে অবস্থান করছে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেন তারা। অবস্থান জেনে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মাওনা চৌরাস্তার পাশে অবদা মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। এই অভিযানে গ্রেপ্তার হন আসামি ইমরান। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকার তথ্য মিলে। গোয়েন্দা পুলিশ তাকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে যায়। সেখানে তার থাকার ঘরের কাপড় রাখার ওয়্যারড্রবের উপরের ড্রয়ার থেকে একটি চায়না পিস্তাল, ২টি তাজা গুলিসহ একটি ম্যাগজিন ও ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসব ইমরানের নিজের কাছে ছিল বলে গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে নিশ্চিত হয়।

গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফারুক হোসেন যায়যায়দিনকে বলেন, "আসামি গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা রুজু হয়েছে। তিনি নিজে এই দুটি মামলার বাদী।

উল্লেখ্য, ২১মে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ি এলাকার মাটির মসজিদের পাশে দুটি গ্রুমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সেখানে শাকিব নামের একজন ইমরানকে লক্ষ্যকরে গুলি চালায়। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা মো. ফরিদ আহমেদ(২৭) নামের একজনের শরীরে বিদ্ধ্য হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। দুটি পরিবারের ম্যধ্যে জামি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ছাড়া ওই দুটি গ্রুপের মধ্যে মাদক ব্যবসার অধিপত্য বিস্তারে বেশ কয়েকদি ধরে বিরোধ চলমান ছিল বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে