শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি
  ২৮ মে ২০২৪, ১৭:৩৯
ছবি যাযাদি

বরগুনার তালতলীতে পুরো শক্তি নিয়ে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি এ উপক‚ল অতিক্রম করেন। এ সময় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে তাÐবলীলা চালায় ঘূর্ণিঝড়টি। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি,দোকান-পাট তছনছ করেছে। টানা বর্ষণে পনিবন্দী হয় গ্রামের পর গ্রাম। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এখানকার বাসিন্দাদের। পানিতে তলিয়ে যায় বসতবাড়ি,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,উপসানালয়, মাছের ঘের। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, রেমালের প্রভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে উপজেলা ৩ হাজার ৭’শ ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩১৩২ ও পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৫০ বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে কয়েক হাজার গাছপালা। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলা। এছাড়া প্রায় শতাধিক গ্রাম ৪ থেকে ৬ ফুট জলোচ্ছ¡াসে প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ হাজার পরিবার। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ঘেরে। ৮০ হেক্টর ফসলি জমি ও ৩৫০ হেক্টর সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রায় ২৭ লাখ গ্রাহক। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

আজ সরেজমিন বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় দেখা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে রাস্তার পাশে গাছপালা উপজেলা প্রশাসন কেটে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও। ৭২ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় এ উপজেলার মানুষের সাথে যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও রান্না বান্নার কাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরড়ে পারতেছে না।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এই এলাকার প্রায় ৩’শ এর বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এখানকার জেলে পরিবারগুলো এখনও খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। তাদের পরিস্থিতি এখন মানবেতর।

তালতলী উপজেলা নিবার্হী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন,ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এ উপজেলা সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে এ সকল ক্ষতির তালিকা করে সহযোগিতা করা হবে। ৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্রেসহ ব্যক্তিগত ভবণে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ও কয়েক হাজার গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছিলো। তাদের জন্য শুকনা খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। তিনি আরও বলেন বিদ্যুত বিভাগের সাথে কথা হয়েছে তার বলছেন লাইনে কাজ চলছে। তবে রাতের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হতে পারে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে