শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় শতাধিক ককটেল/হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান আ: কুদফুস বেপারির আপন ভাতিজা নাহিদ বেপারি(২০) ও রাসেল সরদার(২৬) বোমের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাহিদ বেপারি বিলাসপুরের মুলাই বেপার কান্দির নুরুল ইসলাম বেপারির ছেলে এবং রাসেল সরদার একই গ্রামের রেজু সরদারের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলাসপুরের ভাঙ্গা ব্রীজ থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে উভয় পক্ষ ককটেল/হাতবোমা নিক্ষেপ করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিতে-দিতে বিলাসপুর কুদ্দুস বেপারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হয়ে মুলাই বেপারি কান্দি ফসলি জমির মাঠ পর্যন্ত গেলে জাজিরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আ: কুদ্দুস বেপারি ও পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আ: জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে প্রায়শই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে। সম্প্রতি সংঘর্ষে দুই গ্রুপের দুইজন নিহত হওয়ায় দুইটি হত্যা মামলা চলমান রয়েছে। গত কিছুদিন যাবত দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো এবং গতকাল সোমবার স্বল্প পরিসরে সংঘর্ষও হয়, তবে কোন হতাহত হয়নি।
আওয়ামিলীগ নেতা চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারি জানান, আমি সকালে বিলাশপুরে থাকলেও পরে ঢাকায় চলে আসি। কিভাবে কি হয়েছে তা জানিনা। তবে আমার ভাতিজা নাহিদ বেপারি ও এক অটোওয়ালা রাসেল সরদার আহত হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখনও কয়েকটি টিম নিয়ে আমরা বিলাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় টহল দিয়ে যাচ্ছি। তবে কয় রাউন্ড গুলি করা হয়েছে তা এখনও পর্যন্ত হিসেব করা সম্ভব হয়নি বলে নিশ্চিত সংখ্যা জানাতে পারছিনা।
যাযাদি/ এস