শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক: ‘ব্লকেডে’ বাড়ছে যানবাহনের সারি, সময় কাটাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা
  ১০ জুলাই ২০২৪, ১৯:১৮
ছবি-যায়যায়দিন

বৃষ্টিবাধা উপেক্ষা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি দড়ি টেনে ও গাছের খুঁটি ফেলে বাধা সৃষ্টি করে।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড দখলে নেয় তারা।

এদিন সকাল ১০টায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় বেলা ১১টায়। কর্মসূচিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি), ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজসহ কুমিল্লার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

জানা গেছে, বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ কর্মসূচি চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। দীর্ঘ সময়ের এ আন্দোলনে মঞ্চনাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কাটাতে চান অবরোধকারীরা।

আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই দিকে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের চট্টগ্রামগামী লেনে যানজট ক্যান্টনমেন্ট এলাকা পার হয়েছে এবং তা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকামুখী লেনে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত ছাড়িয়েছে পরিবহনের জটলা।

এদিকে, মহাসড়কে অবরোধ থাকার কারণে কুমিল্লা নগরীতে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। মহাসড়কের আলেখারচর, জাগুরঝুলি ও কোটবাড়ি বিশ্বরোড হয়ে অনেক গাড়ি শহরে প্রবেশ করে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়।

সকাল থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে গিয়ে দেখা যায়, বাসের উপস্থিতি অত্যন্ত কম। দূরপাল্লার বাস কম চলাচল করছে। তবে আন্তজেলা কিছু বাস মহাসড়ক হয়ে চলাচল করছে। তবে সড়কে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকের আধিক্য ছিল।

আন্দোলনকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন জনগণকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের এই আন্দোলন। দাবি পূরণ না হলে আমরা ঘরে ফিরবো না।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র আবদুল কাইউম বলেন, ‘আন্দোলনের বিষয়টি পূর্বঘোষিত। এ সময়ে মহাসড়ক এড়িয়ে গেলে মানুষের ভোগান্তি কম হতো।’

নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা হিমাচল পরিবহন বাসের চালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আর ১০ মিনিট আগে আসলেই যানজটে পড়তাম না। গত দুই দিনের যানজটেও পড়েছিলাম; তবে ফিরতি পথে। এখনও একটা ট্রিপ নিয়ে যেতে পারিনি। এভাবে লেগে থাকলে তো ভোগান্তি আরও বাড়বে। আমরা নির্বিঘ্নে গাড়ি চালাতে চাই।’

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘এখনও যানজট অতটা দীর্ঘ হয়নি। কর্মসূচি লম্বা হলে যানজট বাড়তে পারে। আমরা সড়কে রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানেন।’

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে