পানির নিচে তলিয়ে আছে অনেক বাড়ি। কাপ্তাই লেকের ধারে প্রায় ঘরগুলো একই অবস্থা।তেমনি বুড়িঘাট ১৭নং টিলার গফফারের বাড়িটি গত কয়েক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাত আর বন্যায় তলিয়ে গেছে বাড়িটি। অসহায় জীবন যাপন করতে দেখা গেছে।
বাড়িটির সামনে যে নলকূপটি ছিল, সেখান থেকে পরিবার পানি সংগ্রহ করতেন। এখন সেই নলকূপটিও ডুবে গেছে। চারদিকে থই থই পানি। পানযোগ্য পানির তীব্র সংকট।
পরিবারের সবাই অন্যদের বাসায় এসে আশ্রয় নিলেও দুর্ভোগ কমেনি তাঁদের। কর্মহীন রয়েছে অনেক দিন,যতটুকু সঞ্চয় ছিল সব শেষ ঠিক মত খাবার ও মিলছে না অনেকের। রান্নার ঘরটিও পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
ঘরে-বাইরে সবখানে শুধু পানি আর পানি। এমনিই অবনতিতে পড়ে আছে কাপ্তাই লেকের জলাধারের পরিবারগুলো। লেকের মাছ আহরন বন্ধ থাকায় দূর্বিসহ জীবন যাবন করতে হচ্ছে পরিবারটির।হঠাৎ কাপ্তাই লেকে পানি বাড়াতে আশেপাশের প্রায় সব এলাকায় ডুবে গেছে।
উপজেলার অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় পানিবন্দী লোকজন এখনো কোনো সহায়তা পাননি। সেসব জায়গায় ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। রয়েছে তীব্র পানির সংকট।
এছাড়া আর তলিয়েছে আমতলি,কমতলি ও মাছ কম্পানির অনেক গুলো পরিবার।
অন্যদিকে ২নং টিলা কেতাব আলীর বাড়ি,৫নং টিলার ফাতেমার বাড়িটিও পাহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে দেখা গেছে।
যাযাদি/এম