চট্টগ্রাম কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা, মিছিল, সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫৪তম জরুরি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫৪ তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা, মিছিল, সভা ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন,বার বার মিছিল মিটিং হওয়ার কারণে ক্লাসের পড়াশোনায় প্রভাব পড়েছে, ছাত্রদের উপস্থিতি কমে গেছে। এভাবে মিছিল মিটিং চললে ছাত্ররা আতঙ্কিত হয়ে যায়, অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে যায়। তাই একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে কলেজে সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড কেউ পরিচালনা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে অবহিত করব। তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে। এতে ছাত্রদলের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। যদিও হামলার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে ছাত্রশিবির। একপর্যায়ে কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। এ দাবিতে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ কলেজ ক্যাম্পাসে মিছিল-মিটিং করে। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ বসে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
নগরের চকবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম কলেজের অবস্থান। পাশাপাশি রয়েছে সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ। দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ দুইটি ছাত্রশিবিরের ঘাঁটি ছিল। তিন দশক নিয়ন্ত্রণে রাখার পর ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর কলেজ দুটি দখলে নেয় ছাত্রলীগ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হলে কলেজ দুটির নিয়ন্ত্রণ হারায় ছাত্রলীগ। এরপর থেকে কলেজ দুইটিতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলো।
যাযাদি/ এসএম