সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চরে গরু-মহিষের বাথান থেকে প্রতিদিন ২ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ হচ্ছে।
অপরদিকে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের অভাবে সংগৃহীত দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ফরমালিন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
গত ৮ ডিসেম্বর সরেজমিনে উপজেলার মানিকপোটল চরে গিয়ে ঐ চরের বাথান পরিচালক বিশু মিয়ার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাজিপুরের চরাঞ্চলে তাদের বাথান ছাড়াও আরও ৯ টি বাথান রয়েছে।
প্রতিটি বাথানে ২৫/৩০ টি গরু সহ প্রায় বাথানে দেড় থেকে দুই শতাধিক করে মহিষ আছে। বাথান গুলো সাধারণত শ্রাবন মাস থেকে জৈষ্ঠ্যমাস পর্যন্ত চরে অবস্থান করে থাকে।
এই সময়ের মধ্যে পশু গুলোকে খাওয়ানোর জন্য চরের ঘাসের অবস্থান ও চরের পরিমানের উপর বিবেচনায় চর মালিকদের দেড় থেকে দুই লক্ষাধীক টাকা ইজারা হিসেবে দিতে হয়। এর বাইরে গবাদী পশুর জন্য অল্প পরিমান চালের কুড়াভুষি দিতে হয়।
অপরদিকে আয় হিসেবে প্রতিদিন বাথানপিছু ১৮০ থেকে ২শ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়।সংগৃহিত দুধবাথান মালিকগণ লিটার প্রতি ৮০ টাকা করে বিক্রয়করে থাকেন। ভালো খবরের পাশাপাশি খারাপ দিক হল বাথানের শ্রমিকরা দুধ সংগ্রহে ধুলা, বালি ও মাছি বৃষ্টিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুধ সংগ্রহের পাশাপাশি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন দিয়ে গরু দোহানের ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা সময় বাথানে রেখে বাজারজাত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৃথকভাবে কাজিপুর উপজেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টার রিন্টু আহম্মেদ, ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই, আপনাদের থেকে শুনলাম এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি / এআর