সারাদেশ

জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক মোঃ বদরুজ্জামানের সরকারি অংশের বেতন ভাতাদি উত্তোলন/প্রদান না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩ জুন) ৪৩৮৯ স্মারক পত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল কার্য্যালয় থেকে মহাপরিচালক বরাবর পাঠান এক পত্রে একথা জানান হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি অবগতির জন্য বিজয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে অনুলিপি দেয়া হয়েছে। এ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: কামরুজ্জামান।

এদিকে, মণিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ এস এম জিল্লুর রশিদ চলতি মাসের ২ তারিখে ২০২৫/২৩২(৩) স্মারকে জালিয়াতি অভিযোগ থাকায় বিজয়রামপুর বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার যশোরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাবেক ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মরহুম মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস সহ নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে বদরুজ্জামানকে বিজয়রামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ দেয়া হয়। যা নিয়ে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজরে আসে। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রত্রিুয়া শুরু করেছেন।

এদিকে, ১ লা জুন (দৈনিক যায়যায়দিন) পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সাংবাদিকদের উপর চরম নাখোশ হন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হেনস্থা করার অপচেষ্টা চেষ্টা করে। মঙ্গলবার বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: মুছা এক সাংবাদিককের সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ মূহুর্তে সাংবাদিকরা লেখার কিছু পাচ্ছে না তাই এ নিয়োগের পিছনে ছুটছে। এ সময় ওই নেতার পাশে বসে থাকতে দেখা যায় কথিত শিক্ষক বদরুজ্জামানকে।

অপরদিক, বুধবার এ নিয়োগের বিষয়ে বিজয়রামপুর গ্রামের জনৈক ফারুক হোসেন কুচক্রী প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার পাইনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। যার অনুলিপি পাঠানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালক ও দুদুকসহ একাধিক দপ্তরে।