মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২

দামুড়হুদায় শীতে হতদরিদ্র মানুষের ভরসা ফুটপাত

দামুড়হুদা ( চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
  ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৬
আপডেট  : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪২
দামুড়হুদায় শীতে হতদরিদ্র মানুষের ভরসা ফুটপাত
ছবি : যায়যায়দিন

শীত ঝেঁকে বসেছে দামুড়হুদা উপজেলাজুড়ে । রাতের শীতৈর তীব্রতায়শীতে লেপ ও কম্বল মোড়াতে হচ্ছে দামুড়হুদাবাসীকে।

অগ্রহায়ণের শেষের দিকে দামুড়হুদা উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত পাশাপাশি পড়ছে ঘন কুয়াশা । আর শীতের তীব্রতার শুরুতেই ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাত বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কেনাকাটা করছে। এরপরও সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতাও নিচ্ছেন।

এ বছর সবকিছুর দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের পোশাক কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন হতদরিদ্র শ্রেণীর মানুষ। হঠাৎ শীত তীব্র হওয়ায় দামুড়হুদা উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার কার্পাসডাঙ্গায় দুপুর থেকে প্রধান সড়কের ধারের ফুটপাথে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা হাইস্কুল সংলগ্ন, কার্পাসডাঙ্গা ব্রীজ মোড়ে, কুড়–লগাছি বাজার, দর্শনা শহীদ আবু সাইদ চত্বরে, দামুড়হুদার বাসস্টান্ড মোড়ে, পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে অত্যধিক ভিড় চোখে পড়ে। শুধু একেবারে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষই নয়, অনেক মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও কিনছেন গরম কাপড়।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও লাইন ধরে কিনছেন নানা ধরনের শীতের পোশাক। বেশিরভাগ পোশাক বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে ১২০০’শ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে শিশু ও নারীদের মোজা, কান টুপি এবং বডদের সোয়েটার, জ্যাকেট রয়েছে। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ফুটপাতে বিক্রেতা হুসাইন জানান, পুরনো জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, মোজা, হাতমোজা, টাওজার ও হুডিসহ আরো অনেক রকমের শীতবন্ত্র বিক্রি করে থাকি। বিশেষ করে, কামলা খাটা, ভ্যান চালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিকেরা বেশি বীড় করছে।

উপজেলার কার্পাসডাঙ্গার ভ্যানচালক জালাল বলেন, “সন্ধ্যার পর ও সকালে ভ্যান চালানোর সময় প্রচন্ড ঠান্ডা লাগে এ জন্য ভালো একটা শীতের কাপড় নিতে এসেছি । তবে আমার কাছে মনে হয়, দাম একটু বেশি চাইছে।

উপজেলার বড়বলদিয়া গ্রামের দিনমুজুর মোবারক বলেন, ছেলে মেয়েদের জন্য অল্পদামে গরম কাপুড় কিনার জন্য ছুটে এসেছি বাজারে, দেখছি দাম একটু বেশী বলার কারণে আমাদের মতো গরীব মানুষদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। বড়বড় দোকানে নতুন গরম কাপুড় কিনার টাকা আমাদের নেই।

দর্শনা ফুটপাথের এক ব্যবসায়ী বলেন, “নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, এমন পণ্যই দোকানে তোলা হয়। যাতে সহজেই সবাই কিনতে পারেন। ”চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পূর্বাভাস সূত্রে জানা যায়, এখন প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমবে। শীতের তীব্রতায় দামুড়হুদার উপজেলায় শীতে গরীব হত দরিদ্র মানুষের ফুটপাতই একমাত্র ভরসা।

যাযাদি/ এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে