নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী-চাটখিল উপজেলার পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করে চলেছে ডা: মোস্তফা হাজেরা ফাউন্ডেশন। অভাবগ্রস্ত, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দরিদ্র শিক্ষার্থী, এতিমদের পড়াশোনার খরচ থেকে শুরু করে অসহায়, অসুস্থদের চিকিৎসাসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে ফাউন্ডেশনটি। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন একেএম গোলাম কিবরিয়া গত ১০ বছর থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
জানা যায়, ক্যাপ্টেন কিবরিয়ার বাড়ি সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নে। তিনি ইউনিয়নের ডাক্তার গোলাম মোস্তফার ছেলে। ৯ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে শিপিং ও এম এইচ গ্লোবাল গ্রুপের সাথে ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন।
১০ বছর পূর্বে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেওটি ইউনিয়নের ডা: গোলাম মোস্তফা পরিবারের উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ফাউন্ডেশনটির যাবতীয় কার্যক্রম। পরিচালিত হচ্ছে।
সম্প্রতি এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা মেধাবী শিক্ষার্থী অন্বেষণে বৃত্তি পরিক্ষার আয়োজন করা হয়। সেখানে ১০০ মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা ও সনদ বিতরণ করা হয়। সমাজ বিনির্মানে দুই উপজেলায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাওয়া শিক্ষকদের মূল্যায়ণে ক্রেষ্ট বিতরণ করা হয়। সমাজের প্রবীণ কৃতি সন্তানদের সাথে তরুনদের সাথে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে প্রবীণ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মত এবারও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
দুই উপজেলার উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফাউন্ডেশনটি নানা ভাবে তাদের সহায়তায় কাজ করে আসছে। নোয়াখালীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ত্রাণ ও পূনর্বাসনে তারা বড় ভুমিকা রেখেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ৫০টি অসহায় পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছে ফাউন্ডেশনটি।
ফাউন্ডেশনটির প্রধান উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন এ কে এম গোলাম কিবরিয়া প্রতিবেদককে তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, সোনাইমুড়ী-চাটখিলের অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে তারা কাজ করছেন। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়ে তারা অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছেন। বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নানা ধরনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিচ্ছেন। নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে তারা ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সেবা কার্যক্রম সুস্থ ভাবে পরিচালনা করতে বিভিন্ন সময় সমাজের সুধীজনদের নিয়ে আলোচনা-পরামর্শ সভা করা হচ্ছে। এভাবেই সমাজ বিনির্মানে নানা নতুন কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ করছেন তারা। আমৃত্যু পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে মানুষের কল্যানে এভাবেই কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
যাযাদি/ এম