যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং শিশুবান্ধব আদালত পদ্ধতি বিষয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে এসিডির প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অংশগ্রহনকারীদের সামনে প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং কাঙ্খিত প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়।এই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নড়াইল জেলায় নারী ও শিশু ভিকটিম প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত হবে।
শিশু ভিকটিমদের বিকল্প পন্থায় সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রশিক্ষনের পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)মোঃআহসান মাহমুদ রাসেল এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)লিংকন বিশ্বাস। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার জাহান। প্রশিক্ষণে তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন কোথায় কোথায় হয় সেই জায়গা গুলো প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে, কাদের দ্বারা একটা শিশু নির্যাতিত হতে পারে সেটা চিহ্নিত করতে হবে, সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক করতে হবে পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সচেতনতা মূলক সভা করা লাগবে স্কুলে শিক্ষকের মাধ্যমে ভিন্ন রকম প্রচারণা করতে হবে।
এছাড়াও উক্ত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় ঘোষ- সহকারী কমিশনার, নড়াইল, মো: মনিরুল ইসলাম, প্রকল্প সমন্বয়কারী, এসিডির দুইজন প্রকল্প কর্মকর্তা, সুদীপ কুমার ঘোষ এবং মৌসুমী আক্তার সহ বিভিন্ন সরকারী অধিদপ্তর এর ২৫ জন সরকারী কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য,ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) প্রশিক্ষণ এর আয়োজন করে। আয়োজনে ডাচ মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রি অ্যা গার্লের সহযোগিতায় ডাউন টু জিরো অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ (স্টেপিং আপ দ্য ফাইট অ্যাগেইনস্ট চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন) প্রকল্পের আওতায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু অনুসন্ধান, উদ্ধার এবং শিশুবান্ধব আদালতের মান উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলার সকল নির্যাতিত এবং পাচারের শিকার ভিকটিমদের সেবা নিশ্চিত করতে সকলের সহযোগীতার বিষয়ে আলোচনা করা, প্রশিক্ষনটিতে নড়াইল জেলার সেবাদানকারী সরকারী অধিদপ্তর থেকে মোট ২৫ জন সরকারী কর্মকর্তা,সাংবাদিকগণ অংশগ্রহন করেন।
যাযাদি/ এম