দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আলুর ন্যায্য মূল্য, হিমাগারের অন্যায্য ও অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনে নামে আলু চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড।
এর আগে একই দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৩ফেব্রæয়ারি) সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দাবি পুরণে এক সপ্তাহের সময় দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় তারা। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনকারীদের দাবি না মানায় ফের রবিবার সকাল ১১টায় পৌরশহরের বিজয় চত্ত¡রে মানববন্ধন শেষে আলু ফেলে সড়ক অবরোধ করে তারা।
পরে দুপুর ১টায় আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও পন্যবাহী যানবাহনসহ পিকনিকের গাড়ীসহ কয়েক শতাধিক গাড়ী আটকা পড়ে সড়কে।
আলু চাষী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানীসহ হিমাগারের বিরুদ্ধে নানা বৈশম্যের কথা উল্লেখ করে আলু চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, অস্বাভাবিক হারে হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে হিমাগার মালিকগন। বাজারে মূল্য না থাকায় আলুর আবাদে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্য দিকে হিমাগার মালিকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তের কারনে পথে বসতে চলেছে আমাদের কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমরা জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে দাবি পুরনে ৭দিনের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনায় হিমাগার মালিকগন আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা আবার আন্দোলনে নেমেছি। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।জানতে চাইলে হিমাদ্রি লিমিটেডের প্রজেক্ট ইনচার্জ মোঃ নুরুন্নবী মন্ডল জানান, প্রশাসন প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেছে বিষয়টি মালিক পক্ষকে জানানো হবে। এ ব্যাপারে করনীয় মালিক পক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অগ্রিম বুকিং দেওয়া রিসিপ বিষয়ে এবং আলু সংগ্রহের বিষয়ে মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফজলে এলাহী বলেন, ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিষয়ে সরকারী কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি। কোন সিন্ডিকেট কোন সমিতি এমন কোন আচরণ করবে যা জনগণের স্বার্থ নষ্ট হয়। ভোক্তা অধিকার আইনের ২৭ধারার বিধান অনুযায়ী আমরা সিলগালা করেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
যাযাদি/ এমএস