নীলফামারীর সৈয়দপুরে মার্চ মাস শেষ হতে না হতেই মওসুম (সিজন চেঞ্জ) পরিবর্তন হওয়ার প্রভাব পড়েছে। এতে করে ঘরে-ঘরে শিশুসহ সবধরণের বয়সি মানুষের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর ও চুলকানি ভাইরাস রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। যার ফলে গত মার্চ মাস থেকেই এসব উপসর্গ নিয়ে মানুষজন হাসপাতাল, ডাক্তারদের চেম্বারে ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ঈদের আগে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে গেলে লক্ষ্য করা গেছে, এসব উপসর্গ নিয়ে শিশুসহ নানা বয়সি নারী-পুরুষের বেশ ভিড়। ভুক্তভোগী কয়েকজন রোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দিনে গরম ও সন্ধ্যার পর শীত অনুভুত হচ্ছে। এদিকে রমজান মাসে ইফতারের সময় অনেক রোজাদাররাই পানিতে লেবু ও চিনি মিশিয়ে সরবত খান।
অনেকেই আবার ফল-মূল, লেমন জুস, রুহ্ আফজাসহ নানা নামের বাজার থেকে কেনা পানিয় কিনে খান। তাছাড়া রমজান এলেই তো ইফতারিতে ছোলা-মুড়ির সাথে একই তেল বারবার ব্যবহার করে ভাজা পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চাপ, বুন্দিয়া, জিলাপি খেয়ে থাকেন। তারপর আবার অনেক ভোজন রসিক মসলাদার হালিম, বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই, গরুর মাংসের চাপও খেয়ে থাকেন। এসব খাবার খেলে এমনিতেই মানুষজনের প্রেসার, গ্যাসসহ নানা ধরণের রোগ দেখা দেয়।
তারপরেও জেনেশুনেই মানুষজন এসব খাবার খেয়ে থাকেন। আর এসব খাবার খেয়ে আরো বেশী করে মানুষজন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বেশী। ঈদের পরেও জ্বর, সর্দি, কাশি, চুলকানি রোগের প্রাদুর্ভাব এখনো রয়েছে। অনেকেই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কথা হলে ১০০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ হোসেন জানান, শুধু সৈয়দপুর নয়, রংপুর বিভাগের অনেক জেলায় মানুষজনের মাঝে মওসুম পরিবর্তনের প্রভাবে ভাইরাস জনিত এসব উপসর্গ দেখা দিয়েছে।এসময় তিনি জানান, আমাদর হাসপাতালেও এসব উপসর্গ নিয়ে নানা বয়সি নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন। এটা তেমন কোনো জটিল রোগ নয়। ওষুধ খেলে নিয়ম মেনে চললে কয়েকদিনে রোগী সুস্থ্য হবেন।
যাযাদি/ এমএস