জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে নববর্ষে দলীয় প্রভাবের সাথে বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাবও আমরা দেখেছি। দল ও বিদেশি রাষ্ট্রের কনসেপ্ট তৈরি করে বিভিন্ন সেগমেন্ট তৈরি করা হতো। বিভিন্ন ধরণের অপসংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হতো। ফ্যাসিস্টের পক্ষ থেকে বা ক্ষমতায় জায়গা থেকে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া এটি কখনোই সাসটেনেবল নয়। আমরা মনে করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভ্যত্থান পরবর্তী সময়ে ততটুকু স্পেস বাংলাদেশের মানুষকে দিয়েছে যে আমরা যা ধারণ করি তাই প্রকাশ করতে পারি। আমরা বিশ^াস করি আগামীতেও যারাই বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্বে থাকুক না কেন তারা যেন কোন কিছু মানুষকে চাপিয়ে দেয়ার সাহস না করে এবং আমাদের প্রকৃত সংস্কৃতি ধারণ করার জন্য তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা যেন তারা রাখে।
তিনি রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাগর ইসলামের কবর জিয়ারত ও তার স্বজনদের সাথে মতবিনিময় শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সারজিস বলেন, গাজায় গণহত্যার রক্ত নেতানিয়াহু ও তার সহযোগিদের গায়ে লেগে আছে। মার্চ ফর গাজায় আমরা দেখেছি লাখ লাখ মানুষ দল মত নির্বিশেষে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুরো বিশ^কে একটি বার্তা দিতে চাই ফিলিস্তিনের গাজায় মজলুম মুসলিম ভাইদের সাথে যেটা হচ্ছে এটা একটি গণহত্যা।
এই গণহত্যার রক্তের যে দাগ তা নেতানিয়াহু হাতে লেগে আছে। তাকে যারা সহায়তা করতে ব্যক্তি, দেশ বা প্রতিষ্ঠান প্রত্যেকের গায়ে আছে। জাতিসংঘ, ইউনিসেফসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বড় বড় লেকচার দেয় কিন্তু তাদের মানবাধিকারের চোখ বিবেক সবকিছু ওই গাজায় গিয়ে তালাবদ্ধ হয়ে যায়। আমরা তাদের বলতে চাই আগামীর পৃথিবীতে মানবাধিকারের কোন বক্তব্য দেয়ার আগে গাজার চিত্রটি সামনে আনবেন।
সেই ইস্যুতে আপনি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে পুরো পৃথিবীর মানুষের সামনের মানবাধিকারের জ্ঞান দেয়ার মতো মুখ আপনার নেই। আমরা দেখেছি সারা বিশে^ই ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এই যে বর্বরতা এই যে গণহত্যা চলছে এই গণহত্যা যদি চলতে দেয়া হয় এটা কিন্তু আর গাজায় সীমাবন্ধ থাকবে না। এটা একদিন পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে যাবে। এটা শুধুমাত্র মুসলিম কেন্দ্রিক নয়। যারা এমন রক্ত পিপাসু তাদের যদি কখনো স্বার্থের জন্য প্রয়োজন হয় তারা অন্য ধর্মের মানুষেরও রক্ত নেবে। এটি ধর্মের মধ্যে সীমাবন্ধ নয়, জাতির মধ্যেও নয়, নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যেও নয় এটি একটি গণহত্যা। আর এই গণহত্যার বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। ফিলিস্তিনের ভাইদের আমরা বলতে চাই পুরো বাংলাদেশ, পুরো পৃথিবী আপনাদের সাথে আছে। আপনাদের সাহসের সাথে যে লড়াই এই লড়াই পুরো পৃথিবীকে যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি জোগায়, সাহস দেয়।
যাযাদি/ এম