কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী রৌমারী ও রাজিবপুর রুটে একাধিক নৌডাকাতির ঘটনায় নৌ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই ডাকাতি রোধে এবং যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চরাঞ্চলে এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে জেলার মোহনগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের আয়োজনে সচেতনতামুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্থানীয়রা জানান, সোমবার ও শুক্রবার কামারজানি হাট এবং রবিবার ও বুধবার চিলমারীর জোড়গাছ হাট, সপ্তাহের এই ৪ দিন নৌ রুট গুলোতে নৌ-পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে। ঢুষমারা থানা ও মোহনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি একসঙ্গে টহল জোরদার করলে এই দিন গুলোতে ডাকাতি রোধ করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সাবেক মেম্বার আমিনুল ইসলাম ডাকাতি রোধে দ্রুতযান দাবি করেন। প্রয়োজনে প্রয়োজনীয় ও নিরবচ্ছিন্ন নৌ-পুলিশ টহল জোরদার করতে স্প্রিট বোড অথবা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুত গতির নৌকা টহল দলে সংযুক্ত করা জরুরী দরকার বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোজাম্মেল হক, অপারেশন অফিসার মো. মোজাফফর হোসেন, ওসি ডিবি বজলার রহমান, চিলমারী মডেল থানার ওসি আব্দুর রহিম, ঢুষমারা থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প আইসি আব্দুর রহিম প্রমুখ।
পুলিশ সূত্র জানান, বেশি সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে একাধিক নৌকা যোগে হাটে যেতে হবে। আর অবশ্যই সন্ধ্যার আগে নৌকা নিয়ে ফিরতে হবে। জেলা পুলিশ ইতিমধ্যে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে নদী পথে নজরদারি শুরু করেছেন। ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবনা মনে হলে অবশ্যই জরুরি নাম্বারে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোজাম্মেল হক জানান, ডাকাতি রোধে পুলিশ সর্বাত্মক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ডাকাতি রোধে নৌ পুলিশের টহল জোরদার ও সংশ্লিষ্ট থানাতে নৌকা যোগ করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে ডাকাতি সহ মাদক জুয়া সহ সব ধরনের অপরাধ নির্মুলে কাজ করবে জেলা পুলিশ৷
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নদীর নাব্যতা বাড়ার সাথে সাথে চড় এলাকায় বহিরাগত নৌ ডাকাতদের তৎপর হবার সম্ভাবনা থাকায় তা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে চর এলাকায় সচেতনতামূলক সভায় মতবিনিময় করা হয়েছে।
যাযাদি/ এমএস