কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজনকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আটক করেছে থানা পুলিশ। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত কুড়াল, লোহার পাইপসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র, একটি সিএনজি এবং ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলো কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার শাকতলা এলাকার জুলকু মিয়া জয়নব আলীর ছেলে মোঃ শরিফ (২৮), লালমাইর থানার বাগমারা গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন (২৭), একই উপজেলার পূর্ব অশোকতলা গ্রামের গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মোঃ সৈকত (২৫)। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নিমাই চন্দ্র ও লিটন চাকমার নেতৃত্বে শনিবার ভোরে পৌর সদরের সোনাকাটিয়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ০৬নং ঘোলপাশা ইউপির আমানগন্ডা বাজারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখি লেইনে একদল ডাকাত সংঘবদ্ধ হইয়া ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। এসময় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিনের তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি টহল টিম ডাকাত দলকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ডাকাতদের সিএনজি মহাসড়ক থেকে পৌর এলাকার সোনাকাটিয়ার হামিদ আলীর বাড়ির গেইটের সাথে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এসময় ৩ জন আসামি পালিয়ে গেলেও অপর ০২ জনকে স্থানীয়রা আটক করে গণধোলাই দেয়। তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীদ্বয়কে স্থানীয় জনগণের হেফাজত থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ০৩নং আসামীকেও আহত অবস্থায় সোনাকাটিয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া দুই ডাকাত মোঃ রাসেল ও ফয়সাল এবং আটককৃত তিন ডাকাতসহ ৩১ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে।
যাযাদি/ এমএস