গাজীপুরের শ্রীপুরের গিলারচালা গ্ৰামে থাকার ঘর থেকে আম্বিয়া খাতুন নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ । শনিবার (৩ মে) সকালের দিকে ওই গ্রামের মো. রুবেলের বাড়ির ভাড়া দেওয়া একটি কক্ষ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল। আম্বিয়া খাতুন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের মো. আসাদ উল্লার স্ত্রী। আসাদ উল্লা একই গ্রামের আব্দুল মতিন আকন্দের ছেলে। এই ঘটনায় স্বামী মো. আসাদ উল্লাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজন, নিহতের স্বজন ও প্রাথমিক তদন্তের প্রেক্ষিতে পুলিশ জানায়, আসাদ উল্লাহ আম্বিয়া খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে গিলারচালা গ্ৰামে ভাড়ায় ছিলেন। স্বামী আসাদ স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করছিলেন। প্রথম স্ত্রীর সংসারে শারমিন আক্তার নামের এক মেয়ে আছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী - স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া হতো। গতকাল রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়। পরে সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান,তাঁদের মধ্যে ঝগড়ার পরের দিন সকালে তাঁদের ঘরে স্বামীর কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যান। গিয়ে দেখেন আম্বিয়া খাতুনের নিথর দেহ ওড়নায় ফাঁসিতে ঝুলে আছে। আম্বিয়ার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
আম্বিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন,'মাকে তার বাবা পিটিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সে তার মায়ের শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।'