দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কচুয়া উপজেলায় সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কচুয়া উপজেলা খাদ্য গুদামে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কচুয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সৈয়দা সানিয়া আক্তার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কচুয়া উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রিপন আহমেদ,খাদ্য উপ- পরিদর্শক আবু সাইদ, কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান,কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ তৌহিদুল ইসলাম,যুগ্ম আহবায়ক শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, কচুয়া উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আল মামুন মুক্তি,কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার দাস,বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কচুয়া শাখার সাধারন সম্পাদক সূর্য্য চক্রবর্তী,সাংবাদিক খান সুমন প্রমুখ। এবছর চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শত ৮৪মেট্রিকটন এবং প্রতিকেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬ টাকা। সে হিসাবে প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪শ ৪০ টাকা।এই ধান বিক্রির কার্যক্রম চলবে( ৭ই এপ্রিল থেকে ৩১ আগষ্ট) পর্যন্ত।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম আবু নওশাদ বলেন,৩১ আগষ্ট ২০২৫ পর্যন্ত সরাসরি প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে সরকার ধান ক্রয় করবে,এবছর ধানের রেট ৩৬ টাকা কেজি।
আমরা প্রতাশ্যা করি প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে সরকার সর্বাধিক পরিমান ধান কিনবে এবং কচুয়াতে আমরা টার্গেট পূরণ করবো সেই প্রত্যাশা করি। যদি কোন অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নিবো।
কচুয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সৈয়দা সানিয়া আক্তার বলেন,তালিকায় থাকা প্রতিজন কৃষক সর্বনিম্ন ১ কেজি থেকে সর্বোচ্চ ৩ টন পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে,আমাদের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।
খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহকারী কৃষকরা বলেন,বাজারে বর্তমানে ধানের মূল্য আছে ৯শত ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কিন্তু সরকারের কাছে মন প্রতি ১৪ শত ৪০ টাকায় বর্তমানে বিক্রি করতে পেরে আমরা অনেক খুশি।
যাযাদি/ এসএম