পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামে ১২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে না করায় বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন এক সন্তানের জননী। অবশেষে প্রেমিক ও তার পরিবার বিয়ের দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভেঙে বিয়ে করেন প্রেমিক যুগল।
বুধবার (৭ মে) রাতে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের প্রেমিকের বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
প্রেমিক অসিম রায় (২৬) অধির রায়ের পুত্র। প্রেমিকা পূজা মণ্ডল (২৬) পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের মহিষচরনী গ্রামের ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলের মেয়ে।
পূজা মণ্ডল বলেন, “আমার সঙ্গে ১২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমাদের প্রেম শুরু হয়। আমার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও, আমার পরিবার প্রথমে একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়। সেখানে ৭ দিন থেকে চলে আসি। পরে কচুয়া উপজেলার বানবাড়িয়া এলাকায় আরেক ছেলের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়, সেখানে আমার একটি কন্যাসন্তান হয়।
পরে প্রেমিক অসিম রায় আমাকে সেই স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বললে আমি ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি। বাবার বাড়িতে প্রায় ৩ বছর ছিলাম। এ সময় অসিম মাঝে মাঝে আমার কাছে আসত। বারবার বিয়ের কথা বললেও সে আমাকে বিয়ে করেনি। তাই আমি অসিমের বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসি।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজেদ হোসেন বলেন, “অসিম কুমারের বাড়িতে এক সন্তানের মা বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিলেন। গতকাল বুধবার রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।”
ইন্দুরকানি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “একজন এক সন্তানের মা বিয়ের দাবিতে অনশন করেছিলেন। স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় দুই পরিবারের সম্মতিতে ছেলে ও মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।”