কক্সবাজারের উখিয়া- টেকনাফের গহিন জঙ্গলে মাদক নির্মূল ও অপহরণ প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী, এপিবিএন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বন বিভাগের ৪৬৭ জনের যৌথ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফের রঙ্গীখালী পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে যায় যৌথ বাহিনী।
উদ্ধার করা হয় ২ হাজার ৫০ পিস ইয়াবা, ১০০ গ্রাম গাজা, ২টি এলজি, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১১টি গুলি, ১টি অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ, ৪টি রামদা, ২টি ছুরি, ১টি চাকু, ৩টি কিরিজ।
অভিযান শেষে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫’র অধিনায়ক অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. কামরুল হাসান জানান, গত ৩ মাসে কক্সবাজার জেলায় চল্লিশটির মতো অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৩০টি ঘটনা শুধু এই দুই উপজেলা টেকনাফ ও উখিয়াতে সংঘটিত হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে উপজেলা দু’টিতে অপহরণকারীরা সাধারণত ভিকটিমদেরকে উখিয়ার জালিয়া পালং, শামলাপুর, কুদুম গুহা এবং টেকনাফের রঙ্গীখালী, আলীখালী ও সদরের জাহালিয়া পাড়া গহিন অরণ্যে রাখে। অত্র গহিন এলাকাগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক দুর্গম হওয়াতে সন্ত্রাসী ডাকাতগণ তাদের নিরাপদ আশ্রয় মনে করে।
তিনি আরও জানান, এই গহিন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী/ডাকাতদের আস্তানা সমূলে ধ্বংস এবং মাদকের রুট বন্ধ করার উদ্দেশে আমরা আজকে র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর পাঁচ শতাধিক ফোর্স নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি, যেখানে র্যাবের পাশাপাশি কর্মরত সকল বাহিনীর সদস্য যেমন সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, পুলিশ এবং বনবিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সাঁড়াশি অভিযানে আমরা সন্ত্রাসীদের কর্তৃক ব্যবহৃত কয়েকটি অস্থায়ী টংঘর/কটেজের সন্ধান পাই।
অপহরণকারীদের বার্তা দেয়াই ছিল অভিযানের উদ্দেশ্য জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করে বার্তা দিয়েছি। আমরা এখন পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি।
এছাড়াও ৩০ জনের একটি তালিকা তৈরির কথাও জানিয়েছে অভিযানকারী দলে থাকা র্যাবের এই কর্মকর্তা। তাদের গ্রেফতারে পাহাড়ে ফের অভিযানের কথা জানান তিনি।
এই অভিযানে ড্রোন উড়ানোসহ দুই একটি টংঘর পুড়িয়ে দেয়াড় ছবি-ফুটেজ সরবরাহ করা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। এসব টংঘর অপহরণকারীদের বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। এলাকাগুলোতে পুনরায় সন্ত্রাসী/ডাকাতদের নিরাপদ আশ্রয় না হতে পারে সেজন্য নিয়মিত ব্যবধানে এখানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হবে বলেও জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।