শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

বারহাট্টায় জমি দখলের চেষ্টা

বারহাট্টা(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি
  ০৯ মে ২০২৫, ১৪:৪২
বারহাট্টায় জমি দখলের চেষ্টা
ছবি: যায়যায়দিন

নেত্রকোনার বারহাট্টায় দেশ ভাগের পরে ভারতের আসাম থেকে আসেন মফিজ উদ্দিন(৬৫) ও তার পরিবার।তখন থেকেই অতিথপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিল তারা।পরিবর্তীতে ১৯৬৪ সালে সরকারের কাছ থেকে মল্লিকপুর মৌজায় জমি লিজ নেয় পরিবারটি।দীর্ঘ ৬১ বছর ধরে লিজের জমিটি মফিজ উদ্দিনের পরিবারের দখলে রয়েছে।কিন্তুু একই এলাকার সিদ্দিক আকবর তালুকদার(৭৮),দুলু মিয়া(৬০), ও ইব্রাহিম(৫২) নামের তিন ব্যাক্তি সম্প্রতি লিজের জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন।এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিনের।

জানা যায়,বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের অতিথপুর এলাকায় মল্লিকপুর মৌজায় ১০৩ খতিয়ানে এবং ৭৪১ দাগে মোট ০.২৪৫০ একর জমি লিজ নিয়েছিলেন ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিনের পিতা বন্দে আলী। ১৯৬৪ সালে লিজ নিলেও তখন থেকেই নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছে পরিবারটি। সিদ্দিক আকবর তালুকদার, দুলু মিয়া ও ইব্রাহিম গত মার্চের ২৫ তারিখে ভুক্তভোগী পরিবারটিতে জমিতে গিয়ে জমি ছেড়ে দিতে বলে।এই সময় সরকারি জমি কোন রিফিউজি পাবে না বলেও হুশিয়ারি করে।স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও কোন লাভ হয়নি।

শুক্রবার সরেজমিন দেখা যায়, অতিথপুর এলাকার ওই লিজের জমিতে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এটার আয় দিয়েই চলে তাদের কষ্টের সংসার।চায়ের দোকানের পিছনে ছোট্ট একটি ঘর করে সেখানেই গিজগিজ করে বসবাস করে তারা।

ভুক্তভোগী মফিজ উদ্দিন বলেন আমার বাপ চাচারা যখন ভারতের আসাম থেকে আসে তখন আমি ছোট।আমার বাবা সেই ১৯৬৪ সাল থেকে জমিটি লিজ নিয়েছে।তখন থেকে এখানেই বসবাস করে আসছি আমরা। আমরা রিফিউজি হওয়ায় আমাদের লোকবল নাই।সেই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে ওই দখলবাজরা।আমার বৈধ লিজের কাগজ আছে অথচ ওই তিনজন আমাদের একমাত্র মাথাগোঁজার জায়গাটি দখল করে নিতে চায়।

অভিযুক্ত সিদ্দিক আকবর তালুকদার বলেন, এটা সরকারি জমি। আমি আদালতে মামলা করেছি সরকারের বিরুদ্ধে।আমি মামলায় ডিগ্রি পেয়েছি।শুধু এটা না আরো ৬১ শতাংশ জমি আমি পেয়েছি সরকারের কাছ থেকে।মামলায় ডিগ্রি পেয়ে থাকলে ত সরকারই আপনাকে জমি বুঝিয়ে দিবে তাহলে নিজে কেন দখল করতে গেলেন এমন প্রশ্নে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।

বারহাট্টা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীমা আফরোজ মারলিজ বলেন,আমি এখনও অভিযোগটি হাতে পাইনি।অভিযোগটি হাতে ফেলে দু'পক্ষ কে ডেকে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে