মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

বাউফলে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতের সংবাদ সম্মেলন

বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
  ১২ মে ২০২৫, ১৮:৪৫
বাউফলে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতের সংবাদ সম্মেলন
ছবি: যায়যায়দিন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে নানা বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ৬মে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন।

ওই কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদ সহ বিভিন্ন পদে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী নেতা ও কিশোরগ্যাং গ্রুপের সদস্যদের জায়গা দেওয়া হয়ছে।

এমন অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ পন্থি ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মলেন করেছেন ওই কলেজ ছাত্রদলের একাংশের নেতারা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে ওই সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নতুন কমিটির সভাপতি, সম্পাদক সহ অন্য অভিযুক্তরা। তারা বলছেন, সব ষড়যন্ত্র।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল নেতা মো. কাওছার হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,‘ আমি সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলাম। ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতি করে আসছি। তারপরেও আমাকে সভাপতি করা হয়নি। সভাপতি করা হয়েছে ছাত্রলীগের চিহিৃত কর্মী ও কিশোরগ্যাং গ্রুপের সদস্য মো. নাইম মৃধাকে।

ওই কমিটিতে জিসান মাহমুদ নামে এক ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। কমিটিতে পূর্ব কালাইয়া হাসান সিদ্দিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাজিদ হাসান নিহাদকে সহ-সভাপতি ও কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাফিন মাহমুদকে করা হয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদক ।

সাধারণ সম্পাদক জিসান ও সহসভাপতি উজ্জল কিশোরগ্যাং হামলার সাথে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান বলেন, আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ছিলাম। আমাকে করা হয়েছে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আমরা যারা আওয়ামী লীগের আমলে রাজপথে ছিলাম। দলীয় প্রোগ্রাম করেছি, তাদের কমিটিতে যোগ্য স্থান দেওয়া হয়নি। যারা ছাত্রলীগ করেছেন। ছাত্রলীগ করে যারা আমাদের ওপর হামলা করেছেন তারাই ছাত্রদলের পদপদবী পেয়েছেন। যা লজ্জাজনক ঘটনা।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালাইয়া ইদ্রিস মোল্লা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির সভাপতি মো. নাইম মৃধা। তিনি বলেন, কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার সময় অনেকের সাথে ছবি তোলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছাত্রলীগ করতে পারে, তাতে আমার কি। আমি তো ছাত্রলীগ করতাম না। আমি বিএনপি পরিবারের সন্তান। ছোটবেলা থেকে ছাত্রদলের সাথে জড়িত। একটি কুচক্রি মহলের মদদে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিসান মাহমুদও তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি কখনো ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলাম। ২০২৩ সালে আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। যারা আইডি হ্যাক করেছিল তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন পোস্ট করে ছিল। আমি ছাত্রদলের সৈনিক, আমি তারেক রহমানের সৈনিক। কোনো অপপ্রচার করে লাভ হবে না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে