বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
লালপুরে প্রথমবার পরীক্ষামূলকভাবে চাষ

বিদেশী আঙুর চাষ করে মিন্টুর বাজিমাত  

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  ১৩ মে ২০২৫, ১৩:৪৫
বিদেশী আঙুর চাষ করে মিন্টুর বাজিমাত    
ছবি: যায়যায়দিন

নাটোরের লালপুরে প্রথম বারের মতো মিন্টু নামে এক চাষির বাড়ির আঙিনায় পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করেছে বিদেশী ফল আঙুর। ইতোমধ্যে বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঙ্খিত সুমিষ্ট আঙুর। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।

সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে আঙ্গুরের ছড়া। এই আঙুরের বাগান দেখা যায় নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের নাগশোষা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মিন্টুর বাড়ির আঙিনায়।

1

জানা যায় শখের বশে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকটি জাত সংগ্রহ করে বাড়ির আঙিনায় আঙুর চারা রোপণ করেন।

এ বছর পুরো মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা পাকা আঙুর। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সুমিষ্ট। বাগানজুড়ে সারি সারি গাছ, গাছের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলে আছে বিদেশি আঙুর।

দেখলে মনে হবে যেন দেশের মাটিতে নয়, বিদেশে আঙুর চাষের দৃশ্য।

সোমবার ১২ মে সরেজমিনে উপজেলার নাগশোষা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় আঙুর বাগান পরিচর্যা করছেন মিন্টু ও তার ছেলে, তার বাগানে বর্তমানে গ্রীণ লং, অস্ট্রেলিয়ান কিং, ব্লাক রুবি, ডিকসন, আমেরিকান রিলায়েন্স, সুপার নোভা, রাশিয়ান বাইপুনুর, সহ ৮টি বিদেশি জাতের প্রায় ১৫টি গাছ রয়েছে।

মিন্টু জানান, পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও ইউটিউবে ভিডিও দেখে আঙুর চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি, পরে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে কুড়িগ্রাম নিলফামারী সহ কয়েকটি জেলা থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে চারা সংগ্রহ করে রোপন করেন।

দীর্ঘ ১১ মাস পরিচর্যার পর প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ধরেছে আঙুর। বিদেশি জাতের এই আঙুর বাগান দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ছুটে আসছেন অনেকে।

মিন্টু বলেন প্রথমবার ফলন দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। প্রতিদিনই আঙুর দেখতে ছুটে আসেন অনেকে। খেয়েও প্রশংসা করেছেন। যে কারণে আমি এই প্রথম পরীক্ষামূলক চাষে সফল হয়ে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের চিন্তা করছি।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা পেলে এ উপজেলায় আঙ্গুর চাষের বিস্তার ঘটানোর পাশাপাশি জনগণের পুষ্টি ও উচ্চ মূল্যের ফলের চাহিদা মিটানো সম্ভব।

এ আঙুর চাষে তেমন কোনো বিষ বা কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। শুধু মাটিতে জৈব সার ও পানি লাগে।

খুব অল্প খরচ ও পরিচর্যায় আঙুর চাষ করা যায়। গাছ রোপনের পর দীর্ঘদিন ফলন পাওয়া যায়। একটি গাছে বছরে ৩ বার আঙুর ধরে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার প্রীতম কুমার হোড় বলেন তরুণ উদ্যোক্তা মিন্টু পরীক্ষামূলকভাবে বিদেশি জাতের আঙুর চাষ করছেন, আশানুরূপ উৎপাদন হলে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষের ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ সবসময় তাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত নির্দেশনা এবং পরামর্শ প্রদান করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে