শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, স্থবির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  ১৫ মে ২০২৫, ১৯:১২
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, স্থবির আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম
ছবি: যায়যায়দিন

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরণের কাস্টমস কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তের লক্ষ্যে প্রণীত একটি সরকারী অধ্যাদেশের প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তারা এ কর্মবিরতি শুরু করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয় এর মধ্যে আমদানির প্রায় ২ হাজার ও রপ্তানির প্রায় ৫ হাজার। তবে কর্মবিরতির কারণে কোনো কার্যক্রমই চলছে না।

1

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিএন্ডএফ এজেন্ট বলেন, ‘কর্মকর্তারা আছেন। কিন্তু তারা কোনো ফাইলে হাত দিচ্ছেন না। তাই আমরা বসে আছি। কাজ আটকে আছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, 'স্টাফরা অফিসে এলেও কোনো অফিসিয়াল কাজ হচ্ছে না। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টরাও কার্যত বসে আছেন।'

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা করে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। তাই কখন এটি শেষ হবে তা জানি না।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের মুখপাত্র ও উপকমিশনার সাইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার হওয়ায় আজই কাস্টমস কার্যক্রম শেষ করতে না পারলে দুদিনের সরকারি ছুটিতে পড়বেন তারা, ফলে ডেলিভারি ও পোর্ট হ্যান্ডলিংয়ে বিলম্ব হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রাহমান বলেন, ‘কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য আটকে রয়েছে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

কর্মবিরতি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষে পরিবহন বিভাগের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘কাস্টমস অফিসারদের কর্মবিরতির কারণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস এবং ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রাইমমুভারদের কর্মবিরতিতে খালাস হওয়া কনটেইনারও বের হচ্ছে না। তাই বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে