সারাদেশ

খুলনায় ১৭ মে রারু‌ণ্যের সমা‌বেশ সকল কার্যক্রম শেষ দি‌কে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু বলেছেন, বিএনপি’র ভ্যানগার্ড খ্যাত অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে ১৭ মে’র সমাবেশ হবে খুলনার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জমায়েত। দুই লক্ষাধিক তারুণ্যের জমায়েতে একটি বৈসাম্যহীন, আধুনিক, ন্যায্য ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণই এ সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য।

গত ১৬ বছর ভোটের অধিকার বঞ্চিত তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করে আগামীর নির্বাচনে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। সে জন্য নতুন পরিকল্পনায় দলকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাই ফ্যাসিবাদ পতনের পর নতুনধারায় রাজনীতিতে তারুণ্য শক্তিকেই প্রধাণ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।

বুধবার বিকালে নগরীর দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা বিএনপি’র সমন্বয়ে সকল উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি/আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবদের যৌথ প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভা থেকে লক্ষাধিক নেতা-কর্মী-সমর্থকের স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণ হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সবাত্মক সফলে প্রতিদিন খুলনার নয়টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভায় প্রস্তুতিসভা, লিফলেট বিতরণ ও প্রচার মিছিল করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত অবধি জনগণের দ্বোরগড়ায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশের ও তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করছেন তারা।

মনিরুজ্জামান মন্টু আরও বলেন, তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ প্রথম কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি’র এক যুগান্তকারী কর্মসূচি এটি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই আয়োজন নিশ্চয়ই একটি মাইলফলক। এই কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অভিনব নেতৃত্ব এবং নির্দেশনার উজ্জ্বল স্মারক। এ কর্মসূচিকে সারাদেশের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিতে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন তিনি।

ঘোড়াঘাটে গাঁজা সেবনের দায়ে ৫ জনের জেল

সভায় আরও বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক এড. মোমরেজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, তৈয়েবুর রহমান, এস এম শামীম কবির, গাজী তফসির আহমেদ, জি এম কামরুজ্জামান টুকু ও এনামুল হক সজল, জেলা বিএনপি’র সদস্য এস এ রহমান বাবুল, সুলতান মাহামুদ, মোল্লা মাহাবুব রহমান, সরোয়ার হোসেন, শেখ হাফিজুর রহমান, মনির হাসান টিটো, আব্দুল মালেক, এম এ হাসান, মনিরুজ্জামান বেল্টু, আবু সাঈদ বিশাস ও আশরাফুল ইসলাম নূর, বিএনপি নেতা আব্দুর রকিব মল্লিক, মোল্লা সাইফুর রহমান, শেখ আবুল বাশার, খন্দকার ফারুক হোসেন, জাবেদ মল্লিক, এমদাদুল হক, মশিউর রহমান লিটন ও মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।