গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় শয়নঘর থেকে হাসান আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭মে ) সন্ধ্যায় উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলী নগর গ্রামের নিজ বাড়ির শয়নঘরের তীরের সাথে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত হাসান আলী ওই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে।
মৃতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, অভাব অনাটনের সংসারে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে দীর্ঘদিন থেকে স্ব-পরিবারে তিনি ঢাকায় থাকেন। এঘটনার একদিন আগে রাতে ঢাকা থেকে তিনি একাই বাড়িতে ফিরে নিজের শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। এরইমধ্যে পরিবারের সকলের অগোচরে রাতের কোন একসময় তিনি শয়ন ঘরের তীরের সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেন।
পরের দিন শনিবার দুপুর হলেও তিনি ঘুম থেকে না উঠায় তার পরিবারের লোকজন তাতে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এর মধ্যে তার কোন সাড়া না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে রশিতে হাসান আলীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন চিৎকার দিয়ে ওঠে। এসময় আশেপাশের লোকজন দৌড়ে এসে হাসান আলীর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
তার পরিবারের দাবি হাসান আলী দীর্ঘদিন ধরে নানাবিধ দূরাব্যাধিতে ভুগছিলেন।অভাব অনাটনের সংসারে উন্নত চিকৎসা করার মত তার কোন সামর্থ ছিল না। এমতবস্থায় রোগ যন্ত্রণায় তিনি আত্নহত্যা করতে পারেন বলে তারা এমনটা ধারনা করছেন।এছাড়া তার অনেক দায়দেনা আছে বলে তারা জানান।
খবর পেয়ে ওইদিন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের লাশ থানায় নিয়ে যায়।
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজ উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কোন কারণ জানা যায়নি।তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে ওসি জানান।