গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রৌমারীর জিঞ্জিরাম নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ভেসে গেছে জিঞ্জিরাম নদীর ওপর নির্মিত ৬০ থেকে ৭০ মিটারের কাঠের সাঁকো।
উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিলো এই কাঠের সাঁকোটি। গত শনিবার পাহাড়ি ঢলে কচুরিপানা আটকে সাঁকোটি ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়।
জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই জিঞ্জিরাম নদীতে ছোটো নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হতেন ১১ গ্রামের মানুষ। এরপর গ্রামগুলোর দুর্ভোগ কমাতে জিঞ্জিরাম নদীর উপর নির্মাণ করা হয় কাঠের সাঁকোটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মিটারের কাঠের সাঁকোর মাঝে ভেঙে যায়। এতে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া, বকবান্দা, ব্যাপাড়ীপারা, বকবান্দা নামাপাড়া, খেওয়ারচর, আগলারচর, ঝাউবাড়ী,পাঠাধোয়াপাড়াসহ প্রায় ১১টি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এই সাঁকো ওই ১১ গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন। সাঁকোটি ভাঙায় ১১ গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বলা আছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা অন্য কোনো কারণে সাঁকোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে সেটি সরকারের দেওয়া প্রকল্পের মাধ্যমে মেরামত করা হবে।