মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
চট্টগ্রাম ইপিজেড

বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজট

চট্টগ্রাম ব্যুরো
  ১৯ মে ২০২৫, ১৯:১০
বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ, যানজট
বেতন-বোনাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন চট্টগ্রাম ইপিজেডের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা: ছবি যায়যায়দিন

বকেয়া বেতন ও ঈদুল ফিতরের বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পোশাক কারখানা এম এস মোডিস্ট (সিইপিজেড) লিমিটেডের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছেন।

এতে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ ও সাধারণ যাত্রীরা।

1

সোমবার (১৯ মে) দুপুর ২টা থেকে সিইপিজেডের সামনে ফ্রিপোর্ট মোড় অবরোধ করে পোশাক কারখানার কয়েকশ' শ্রমিক।

বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গত ঈদুল ফিতরের বোনাস তাদের দেওয়া হয়নি। মে মাসের অর্ধেক পার হয়ে গেলেও এখনও এপ্রিল মাসের বেতন পাননি তারা।

মালিকপক্ষ কয়েকবার আশ্বাস দিলেও শেষপর্যন্ত বেতন-বোনাস পরিশোধ করেনি। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা প্রথমে আজ সকাল ৮টা থেকে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন।

কিন্তু মালিকপক্ষ বিক্ষোভে সাড়া না দেওয়ায় তারা সিইপিজেড থেকে বের হয়ে দুপুরে ফ্রিপোর্ট মোড়ে অবরোধ করেছেন।

বকেয়া বেতন-বোনাসের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না দেয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা সড়ক ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

তারা শ্রমিকদের সঙ্গে ধৈর্য ধরে কথা বলার চেষ্টা করছে এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

তবে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা অর্থাৎ বকেয়া বেতন অবিলম্বে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি ছাড়া রাস্তা ছাড়তে নারাজ।

ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আকতারুজ্জামান বলেন, ‘বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

আমরা তাদের প্রথমে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেছি। তারা যাচ্ছে না। এখন বেপজা কর্তৃপক্ষ কারখানার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

আশা করি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটা সুরাহা হবে।’

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল বলেন, শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। ফ্রিপোর্ট মোড়ে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। আমরা সতর্ক ছিলাম পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়।

এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আগ্রাবাদ, বন্দরের বিভিন্ন এলাকা, বেপজা সংলগ্ন রাস্তাসহ বিস্তৃত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়ে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ।

নগরীর আগ্রাবাদ থেকে বহদ্দারহাট বাসের যাত্রী সালেহা বেগম বলেন, “আসার পথে পুরো এক ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি। রিকশাও চলছে না, গাড়ি তো দূরের কথা। ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে