চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২৩ ঘণ্টা পর আবদুল করিম (২১) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় সংলগ্ন সাঙ্গু নদী থেকে করিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৯ মে) দুপুর ২ টার দিকে একই ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় সংলগ্ন সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে ওই যুবক নিখোঁজ হন।
আবদুল করিম কক্সবাজারের উখিয়া ট্যাংখালি ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. হোসেনের ছেলে এবং কাটগড় এলাকার মো. শাহেদ নামে এক ব্যক্তির পোল্ট্রি খামারে চাকরি করতেন।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ডুবুরি দলের পাঁচ সদস্য ৬ ঘণ্টা ধরে সাঙ্গু নদীতে অভিযান চালিয়ে আবদুল করিম নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
পোল্ট্রি খামারের মালিক মো. শাহেদ বলেন, বিগত দেড় মাস ধরে করিম আমার মুরগি ফার্মে চাকুরি করছেন। ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে করিম ভাত খেয়ে ফার্মের পাশ্ববর্তী সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় তার সঙ্গে এলাকার আরও কয়েকজন ছেলে ছিল। গোসল শেষে অন্যরা নদী থেকে উঠে আসলেও করিম পানির নীচে তলিয়ে নিখোঁজ হন।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজের পর স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় হাত জাল দিয়ে প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।
সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তারা (ডুবুরি দল) উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করে চলে যায়।
মঙ্গলবার সকালে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে করিমের লাশ পানি থেকে উদ্ধার করা হয়।সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, সাঙ্গু নদী থেকে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সাতকানিয়া থানার নিকট হস্তান্তর করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, সাঙ্গু নদীটি বান্দরবান হয়ে সাতকানিয়া উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীটি অন্যান্য নদীর তুলনায় বেশি খরস্রোতা। যারা পরিপূর্ণ সাঁতার জানে না তাদের নদীতে গোসলের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।