সিলেটের জৈন্তাপুরে সরকারি গৌপাট নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার ৫নং ফতেপুর ইউনিয়নের হেমু হাউদপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাকের আহমদ বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন, যার মামলা নং ১১ তারিখ ১৭/০৫/২০২৫।
আহতরা হলেন- লুৎফুর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৪৯), লুৎফুর রহমানের মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী মনিরা বেগম (১৬) ও নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাকেরা বেগম (১৪)।
হরিপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাকেরা বেগমের ওপর হামলার ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করবে বলেও জানা গেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে হেমু হাউদপাড়া গ্রামের শাহাব উদ্দিন ও ছলিম উল্লাহ'র পরিবারের সঙ্গে একটি রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে।
বিবাদীরা দীর্ঘদিন থেকে বাদীগনকে মারপিট করার জন্য সুযোগ খোঁজে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাকের আহমদের বাড়িতে প্রতিপক্ষরা দেশিও অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করিয়া গালিগালাজ করেন। বাদীর মা আছিয়া বেগম তাদের বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
রাহিমের হাতে থাকা দা'র আঘাতে আছিয়া বেগমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু হাউদপাড়া গ্রামের ছাইদুল্লাহর ছেলে রাহিম মিয়া (২৩), মৃত বক্কর উদ্দিনের ছেলে শাহাব উদ্দিন (৫০), মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে ছলিম উল্লাহ (৩৫), ছাইদুল্লাহ (৪৩), শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী মায়ারুন নেছা (৪২), ছাইদুল্লাহর স্ত্রী সুলতানা বেগম (৩৮), শাহাব উদ্দিনের ছেলে আল আমিন (৩২)সহ আরও কয়েকজন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছলিম উল্লাহ বলেন, সাকের আহমদের বাড়িতে দুই পক্ষের মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাইদুল্লার ছেলে রাহিম মিয়া এসে আছিয়া বেগমসহ ৩ জনের ওপর আক্রমণ করে।
এ বিষয়ে বাদী সাকের আহমদ বলেন, আমাদের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন থেকে। সেই সুযোগে শাহাব উদ্দিন ও ছলিম উল্লাহ'র লোকজন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গিয়ে আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
এতে আমার মা, বোনসহ ৩ জন গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
আমার পরিবারের উপর হামলা কারিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, বাদী পক্ষ থানায় এসে মামলা করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।