বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
লোহাগড়ায় চাঞ্চল্যকর কৃষক খাজা হত্যা

বিএনপি নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার ও আটকের দাবিতে বিক্ষোভ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
  ২৬ মে ২০২৫, ১৫:৫৭
বিএনপি নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার ও আটকের দাবিতে বিক্ষোভ
নড়াইলের লোহাগড়ায় কৃষক হত্যার আসামিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়: ছবি যায়যায়দিন

নড়াইলের লোহাগড়ায় কৃষক খাজা মোল্যা হত্যার প্রধান আসামি ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখসহ সকল আসামির গ্রেপ্তার এবং দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

গত রোববার (২৫ মে) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার ইতনা বাজারে স্থানীয় বিএনপি আফিসের সামনের সড়কে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করেন তারা। আর একই ঘটনায় এলাকাবাসী করেছেন ঝাড়ু মিছিল।

মানববন্ধনে ইতনা ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন লোহাগড়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি রইচ উদ্দিন পলু, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পান্নু মুন্সি, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মো. রাকিব হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্যা আব্দুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হিরোসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে লোহাগড়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি রইচ উদ্দিন পলু বলেন, বিএনপি এক বৃহৎ ঐক্যের দল। এ দলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখ স্থানীয় পর্যায়ে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। খাজা মোল্যা নিরীহ একজন মানুষ ছিলেন। তাকে হত্যা করার মাধ্যমে পলাশ ও তার বাহিনী নিজেদের সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। নিরীহ মানুষদের ওপর জুলুম, নির্যাতনে তুষ্ট না হতে পেরেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দল থেকে বহিষ্কার দাবি করি।’

এর আগে একই দিন বিকাল সাড়ে ৪ টায় ইতনা ইউনিয়ন বাসীর আযোজনে পার-ইছাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার কয়েকশত নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। খাজা মোল্যা হত্যায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ করেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে নিহত খাজার ভাই আলি হায়দার ও ভাবি রুমা খানম বলেন, ‘খাজা একজন নিরীহ কৃষক ছিলেন। কোনো দল-দরিয়াত করতেন না। নির্মমভাবে তাকে হত্যার ১০ দিন পার হলেও বড় কোনো আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি৷ প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। আমরা আসামিদের ফাঁসি চাই।’

এদিকে মামলার পর থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশসহ আসামিরা পলাতক রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে মুঠোফোনে একাধিকবার পলাশসহ অন্য আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি৷

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, খাজা হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে