শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মধ্যপাড়া পাথরখনি আলোর মুখ দেখলেও প্রপাগন্ডা থেকে রক্ষা পায়নি জিটিসি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ২৭ মে ২০২৫, ১৮:৫৩
মধ্যপাড়া পাথরখনি আলোর মুখ দেখলেও প্রপাগন্ডা থেকে রক্ষা পায়নি জিটিসি
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনি: ছবি যায়যায়দিন

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এমজিএমসিএল’র (মধ্যপাড়া পাথর খনি) বর্তমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রাস্ট কন্সোডিয়ামের (জিটিসি) হাত ধরে লাভের মুখ দেখলেও, প্রপাগন্ডা আর প্রতিকূলতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি জিটিসি।

খনি সুত্রে জানা গেছে, মধ্যপাড়া পাথর খনিটি ২০০৮ সালে উৎপাদন শুরু করে। তবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পায়নি। সেই সময় প্রতিদিন গড়ে ২০০০ মে. টন পাথর উত্তোলন হলেও, শেষের দিকে উৎপাদন নেমে এসেছিল ৭০০ টনে। এতে খনিটি বড় রকমের লোকশানের মুখে পড়ে। ফলে সাড়ে তিন বছরে খনির লোকশান হয় সাড়ে ৯৩ কোটি টাকা।

1

এরপর ২০১৪ সালে খনির বর্তমান ঠিকাদার জিটিসি, উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিদিন পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলন শুরু করে। এতে করে খনিটি লোকশানের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে লাভের মুখ দেখতে থাকে। তবে জিটিসির মাধ্যমে খনিটি লাভের মুখ দেখলেও প্রপাগন্ডা থেকে রক্ষা পায়নি জিটিসি।

জানা গেছে, বেলারুশ ভিত্তিক বেলারুশ ও দেশীয় পরিচালনায় জার্মানিয়া ট্রাস্ট কন্সোডিয়া জিটিসি কোম্পানীটি মধ্যপাড়ার খনির দায়িত্বে আসার পর, নানা প্রতিকূলতা ও প্রপাগন্ডার মুখে পড়ে। অথচ জিটিসি খনি কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে খনির উৎপাদন ও সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, খনিটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা উপবৃত্তি, খনি এলাকার জনগনের ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র, জিটিসি চ্যারিটাবল প্রতিষ্ঠা করেছে।

জিটিসি বলছে, যেহেতু তারা খনিতে কাজ করতে এসেছে, এ কারনে তারা খনিটিকে নির্বিঘ্নে পরিচালনার জন্য সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করছে। কিন্তু একটি চক্র বারবার তাদের নামে প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে খনি এলাকাটিকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এতে তাদের কাজের ক্ষতি হচ্ছে, এ ছাড়া চুক্তির শর্তের কারনে অনেক বিষয়েও তারা সবার সঙ্গে কথাও বলতে পারছে না।

এদিকে মধ্যপাড়া খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, জিটিসি এখন প্রতিদিন তিন শিফটে পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার মে.টন পাথর উত্তোলন করছে। এতেকরে খনিটি লাভের দিকে যাচ্ছে। তবে কোনো কোনো পক্ষ প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ জন্য খনির আইনশৃংখলা রক্ষার্থে তারা খনি কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারী পক্ষ যৌথভাবে কাজ করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে