ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ২ হাজার ৫৪ টি ছোট বড় খামার ও গৃস্থ পরিবারে ১৭ হাজার ৩৬ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।
ভালো দামের আশায় কোরবানির বাজার লক্ষ রেখে এসব পশু যত্ন সহকারে লালন পালন করছেন খামারীরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি পশু বাহিরের জেলা উপজেলা গুলোতেও বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানি ঈদের জন্য পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৬৯৬টি।
খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ১৭ হাজার ৩৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে, উদ্বৃত্ত রয়েছে ৮৬৪০ টি। এসব পশুর মধ্যে ষাঁড় ৪৩৫২ টি, বলদ ১২২৫ টি গাভী ১৩৬১ টি, মহিষ ৮ টি, ছাগল ৮ হাজার ৯৭০টি ও ভেড়া রয়েছে ১৪১৪ টি।
ঈদকে সামনে রেখে খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এসব পশুর খাদ্য হিসেবে দেয়া হচ্ছে গমের ভুসি, ছোলা, মসুর ভুসি ও নেপিয়ার জাতের কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। দেশীয় জাত সহ শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কোরবানীকে সামনে রেখে হাট-বাজার থেকে ক্রয় করছেন ক্রেতারা।
পশু কেনা বেচার জন্য ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ ও বাগেরহাটসহ বলগাড়ী বাজার ও ডুগডুগীহাট নামে ২ টি অস্থায়ী হাট-বাজার রয়েছে।
এবার কোরবানি সামনে রেখে বড় বড় খামারের পাশাপাশি গ্রামের কৃষক পরিবারগুলো বাড়িতে বাড়িতে গড়ে ৩-৪টি করে গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন। তবে পশু লালন পালনে খরচ বেশি পড়েছে।
রানীগঞ্জ বাজার এলাকার খামারি মো. জনি মিয়া বলেন, দেশীয় জাতের মাঝারি মাপের ৭ টি গরু এখন পুরোদমে খাদ্যের যোগান দেওয়া হচ্ছে।
এবার খামারি আব্দুল বাসার, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুব ও আবু সায়াদ চৌধুরী জানান, সব খামারেই কোরবানির জন্য গরু ও ছাগল প্রস্তুত করার শেষ সময়ের কাজ চলছে।
উপজেলার ইউনিয়নের হরিপাড়া গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, এখনো পুরোপুরি ভাবে পশুর হাট জমেনি। আমি ঈদকে সামনে রেখে ৫ টি গরু লালন পালন করছি আশা করি ভালো দাম পাবো।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. রবিউল ইসলাম বলেন, কোরবানি উপলক্ষে যেসব গরু উপযোগী করে তোলা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করছি।
বিশেষ করে ভ্যাকসিনের বিষয়টি আমরা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যাতে করে সুস্থ-সবল গরু কোরবানি দেওয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।