কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দলীয় কোন্দলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা শহিদ আলী। আহত যুবদল নেতা শহিদ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগের এক নেতা ও যুবদল নেতার নির্দেশে তার উপর হামলা হয়েছে।
বর্তমানে সে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনাটি তিনি অবগত আছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। গত বুধবার সকালে উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের আঠারবাঁক গ্রামে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৯শে মে) দুপুরে তিনি কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও জানান, স্থানীয় শুভপুর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা আবু ছায়েদ ও যুবদল নেতা মাইন উদ্দিনের নির্দেশে তার উপর হামলা হয়েছে। হামলায় নেতৃত্বে ছিলেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগ থেকে যুবদলে যোগদানকারী আঠারবাক গ্রামের শাকিল (২৬), মহিন, (২৭) মাইন উদ্দিন, রাহিম (২৬)।
এসময় শহিদ আলী জানান, আমি জেলা বিএনপি’র সদস্য ডা. গোলাম কাদের চৌধুরী নোবেল এবং জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন জুয়েল ভাইয়ের কর্মী হিসেবে রাজনীতি করি। হামলাকারীরা আমাকে বিভিন্নভাবে এই পক্ষ ত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়। এছাড়াও আমি বিভিন্ন সময়ে আ’লীগ নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদানের বিপক্ষে কথা বলি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করি।
হামলার নির্দেশদাতারা এবং হামলাকারীরা আমার উপর এসব ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়। ৫ই আগষ্টের পরে একাধিকবার আমার উপর হামলা করে। গত ০২ই ফেব্রুয়ারী আমার উপর মাইন উদ্দিন ও দুলালের নিদের্শে হামলা করে। এ ঘটনায় ৩ই ফেব্রুয়ারী আমি থানায় অভিযোগ দিলে উক্ত চক্রটি গত ৭ই ফেব্রুয়ারী আবারো আমার উপর হামলা করে।
জেলা যুবদল নেতা মির্জা হিরণ জানান, আ’লীগ থেকে বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারীরা শহিদের উপর হামলা করেছে। যুবদল নেতা শহিদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা চৌদ্দগ্রাম সেনাবাহিনী ক্যাম্পে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ঘটনায় আদালতেও মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিলাল উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনাটি জানতে পেরে থানার এস.আই নুর নবী ও আরেফিনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে আহতকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি কেউ।