সারাদেশ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম জেলা, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট ২৩টি আসনেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির সভাপতি থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী ও দলটির দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা রয়েছেন প্রার্থীদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল ৩টায় নগরীর দিদার মার্কেটস্থ সাফা আর্কেডে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম অঞ্চল নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে ২৩ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।

জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রাম জেলার ১৬ টি আসনে চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম ১ (মিরসরাই) আসনে এডভোকেট সাইফুর রহমান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম ৩ (সন্দ্বীপ) আলাউদ্দিন শিকদার, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আনোয়ারুল সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) শাহজাহান মঞ্জুর, চট্টগ্রাম-৭ ( রাঙ্গুনিয়া) অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম -৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) ডা. আবু নাসের , চট্টগ্রাম -৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) ডা. ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী- হালিশহর) অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) ডা. ফরিদুল আলম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান,চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) ডা.শাহাদৎ হোসাইন, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে মাওলানা জহিরুল ইসলাম।

কক্সবাজার জেলার ৪ টি আসনের মধ্যে চকরিয়া - পেকুয়ায় আব্দুল্লাহ আল ফারুক,মহেশখালী-কুতুবদিয়ায় ড. মাওলানা এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ,কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও আসনে শহীদুল্লাহ বাহাদুর ও উখিয়া-টেকনাফ আসনে অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী মনোনয়ন পেয়েছেন।আর পার্বত্য জেলাসমূহের মধ্যে খাগড়াছড়ি আসনে এয়াকুব আলী চৌধুরী, রাঙামাটি আসনে অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ ও বান্দরবান আসনে অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

এসময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলদের প্রস্তুতি নিতে হবে। দিনের পথে যারা থাকে তারা পরস্পর ভাই-ভাই। এই সম্পর্ক পৃথিবীর সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে। সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানামুখী সংকট, সংঘর্ষ, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এই দায়িত্বশীলদেরই মোকাবিলা করতে হবে।

সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, অতীতের তুলনায় বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। দেশের মানুষ দেশকে নতুন আঙ্গিকে দেখতে চায়। দেশের আমানত তারা জামায়াতে ইসলামীকে তুলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক পরিসর মারাত্মকভাবে সংকুচিত করেছে এবং তাদের বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী ও লুটপাটের শাসনামলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।