বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রামে টানা ১৬৭ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও এবার নগরে জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি-এমন খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সমন্বিত জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
ফারুক ই আজম নগরের রহমতগঞ্জ, জেএমসেন লেন, জিইসি মোড়, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটসহ জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘টানা বৃষ্টির পরও নগরে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় অর্জন। এর পেছনে রয়েছে চসিকসহ সংশ্লিষ্ট সব সেবা সংস্থার সমন্বিত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। যদি এই পরিকল্পিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকে, তবে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকবে।’
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনায় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে একাধিক সমন্বয় সভা ও সরেজমিন পরিদর্শনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। চসিক, সিডিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সক্রিয় সমন্বয়ের ফলেই এবার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। নগরবাসী তাই এবার পেয়েছে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস।
পরিদর্শনের সময় তিনি ভিডিও কলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
পরিদর্শনে উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা এবং মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ।